সম্পত্তি সংস্কার বিষয়ে চিন্তাভাবনা ফলপ্রসূ হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি। যাবতীয় আটকে থাকা কাজের ক্ষেত্রে ... বিশদ
এব্যাপারে মহুয়াদেবীকে জিজ্ঞাস করা হলে তিনি বলেন, তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই আন্দোলনের রূপরেখা ঠিক করে দিয়েছেন। এদিন আমি সেটাই সবাইকে বুঝিয়ে দিয়েছি। আমরা নাগরিকত্ব ইস্যু নিয়ে একদম টানা আন্দোলন করতে চাইছি। মহুয়া বলেন, এনআরসি ওরা করতে চাইলে বাংলার মানুষ ওদের কী জবাব দেবে তা একদম পরিষ্কার। নদীয়া জেলাতে বহু উদ্বাস্তু মানুষ আছে। ওদের মধ্যে যারা এখন ভোটে জিতে আছেন, তারা কার ভোটে জিতেছে? এই প্রশ্নের উত্তর ওদেরই দিতে হবে। যাদের ভোটে জিতেছে, তাদেরকেই জিজ্ঞাস করা হচ্ছে, তোমার বাবার জন্মস্থান কোথায়! সাধারণ মানুষকে লাইন দাঁড়িয়ে নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে হবে, এটা হতে দেওয়া যায় না। বিধানসভায় সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পাশ করিয়ে আমাদের রাজ্য যে এর বিরুদ্ধে তাও প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে।
এদিন পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল উদ্বাস্তু সেলের পক্ষ থেকে করা লিফলেটও সকল নেতা কর্মীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। তৃণমূল নেতাদের উদ্দেশে বার বার মহুয়াদেবী বলেছেন, এনআরসি, সিএএ, এনপিআরের মতো বিষয়গুলি নিয়ে সবস্তরের নেতা কর্মীদের সম্যক ধারণা থাকা দরকার। কোথাও বক্তব্য রাখতে গেলে পুরো বিষয়টি গুছিয়ে শ্রোতাদের সামনে তুলে ধরতে হবে।
এর আগে কৃষ্ণনগরে তাঁর একটি সভায় উপস্থিতির হার নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মহুয়া। দলীয় সূত্রে খবর, এদিন নেতা কর্মীদের মধ্যে প্রায় ১০০ শতাংশ উপস্থিতি ছিল। দু’একজন জেলা পরিষদ সদস্য, প্রধান ছাড়া সকলেই উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে।
ঠিক হয়েছে, পয়লা ফেব্রুয়ারি প্রতি ব্লকে মিটিং করতে হবে। ২ ফেব্রুয়ারি প্রতি বুথে মিছিল করতে হবে। ৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে প্রতি ব্লকে মানব বন্ধন করা হবে। এক্ষেত্রে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, শঙ্খ, কাঁসর, বাউল নিজেদের জোগাড় করে এই মানব বন্ধন করতে হবে। ৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরে মুখে কালো কাপড় বেঁধে পোস্টার সহ অঞ্চল স্তরে নীরব মিছিল করতে হবে। ৭ ফেব্রুয়ারি বিকালে প্রতি অঞ্চলে পথসভা করতে হবে। ৮ এবং ৯ ফেব্রুয়ারি তফসিলি জাতি ও উপজাতি বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি যেতে হবে। সেখানে এই বিষয়গুলি নিয়ে প্রচার করতে হবে। ১০ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রতি অঞ্চলের আঞ্চলিক নেতৃত্ব প্রতি বুথে বুথে কর্মীদের সঙ্গে মিটিং করবেন।
এনআরসি, সিএএর বিরুদ্ধে আন্দোলন জোরদার করতে টানা কর্মসূচিও স্থির করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। বড় পদযাত্রা, জনসভার পর এবার শাসকদলের লক্ষ্য, এনআরসি-বিরোধিতাকে মানুষের হেঁশেলে নিয়ে যাওয়া। দলীয় সূত্রে খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই বৈঠকে নিজেই জানিয়ে ছিলেন, আন্দোলনের ফল পাওয়া যাচ্ছে। আন্দোলনের পথেই থাকতে হবে। মমতার নির্দেশের সঙ্গে সঙ্গেই উদ্যোগী হয়েছেন মহুয়াদেবীও। এব্যাপারে বিধায়ক গৌরীশঙ্কর দত্ত বলেন, মুখ্যমন্ত্রী কর্মসূচি, দিনক্ষণ সবই ঠিক করে দিয়েছেন। এই কর্মসূচি ঠিকমতো বাস্তবায়ন করতে সবাই মিলে বসে একটি আলোচনা হয়েছে। কৃষ্ণনগর শহরের তৃণমূল নেতা তথা কৃষ্ণনগর পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান অসীম সাহা বলেন, কীভাবে এই কর্মসূচি পালন করতে হবে, তা আমাদের জেলার সভানেত্রী পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দিয়েছেন।