সম্পত্তি সংস্কার বিষয়ে চিন্তাভাবনা ফলপ্রসূ হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি। যাবতীয় আটকে থাকা কাজের ক্ষেত্রে ... বিশদ
দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের প্রায় মাঝখানে অবস্থিত ওই উপবাজার চালু হলে বিষ্ণুপুরের মানুষ নতুন একটি অত্যাধুনিক পরিষেবা সম্পন্ন বাজার পাবেন। ওই বাজারকে কেন্দ্র করে বহু মানুষের কর্মসংস্থান হবে। শুধু তাই নয়, আশেপাশের কয়েকটি ওয়ার্ডের নাগরিকদেরও বাজার হাট করার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে। কৃষি বিপণন দপ্তরের বাঁকুড়া জেলা অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর মহম্মদ আকবর আলি বলেন, বিষ্ণুপুর শহরের বৈলাপাড়ায় নতুন উপবাজার চক তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। খুব শীঘ্রই নির্মাণকারী সংস্থা দপ্তরের হাতে তা তুলে দেবে। তারপরেই উদ্বোধনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, বিষ্ণুপুর শহরে বড় কোনও মার্কেট কমপ্লেক্স নেই। শহরের চকবাজারে বহু পুরনো একটি বাজার রয়েছে। সেখানে পুরসভার তৈরি একটি ছোট মার্কেট কমপ্লেক্স এবং ছড়িয়ে ছিটিয়ে একাধিক ছোট ছোট বাজার রয়েছে। সবকটি বাজার ঘিঞ্জি এলাকায় অবস্থিত। গাড়ি পার্কিং সহ অন্যান্য পরিষেবা পর্যাপ্ত নেই। প্রায় ২০বছর আগে শহরের বৈলাপাড়ায় কৃষি বিপণন দপ্তরের পক্ষ থেকে একটি মার্কেট তৈরি করা হলেও তা চালু হয়নি। সেখানে ২০টি স্টল তৈরি হয়। পরবর্তীকালে তা বিলিও করা হয়। প্রথমে মালিকরা কিছুদিন স্টল খুললেও পরে একে একে সবকটিতেই ঝাঁপ পড়ে যায়। বর্তমানে ওই স্টলগুলি অধিকাংশ মালিক গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করেন। পরবর্তীকালে তিন বছর আগে সেখানে তিনটি স্টলে রাজ্য সরকারের প্রকল্প ‘সুফল বাংলা’ চালু করা হয়। কিন্তু, বাকি স্টলগুলি খোলা হয় না। বছরের পর বছর ধরে এভাবেই পড়ে রয়েছে। এদিকে শহরের বহু বেকার ব্যবসা করার জন্য সেখানে স্টল চেয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও তাঁরা তা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ তোলেন। এই অবস্থায় ওই মার্কেটে আরও স্টল তৈরির দাবি জানানো হয়। পরবর্তীকালে কৃষি বিপণন দপ্তরের মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত সেখানে নতুন একটি অত্যাধুনিক পরিষেবা সম্পন্ন উপবাজার তৈরির কথা ঘোষণা করেন। তার জন্য ৩কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। এক বছর আগে তা তৈরির কাজ শুরু হয়। বর্তমানে সেখানে প্রথমে পাঁচিল সহ দোতলা কমপ্লেক্স তৈরি করা হয়েছে। তাতে প্রায় ৫০টির বেশি স্টল তৈরি হয়েছে। এছাড়াও একটি গেস্ট হাউস, গাড়ি রাখার জন্য পার্কিং জোন সহ নীচের তলায় সব্জি বাজার বসার জন্য বড় শেড তৈরি করা হয়েছে। বাজারের পশ্চিম ও দক্ষিণ দিকে দু’টি বড় গেট করা হয়েছে। রং সহ নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের মুখে। খুব শীঘ্রই তা দপ্তরের হাতে চলে আসবে।
স্থানীয় বাসিন্দা সুভাষ দে বলেন, শহরের প্রায় মাঝখানে অবস্থিত হওয়ায় কৃষি বিপণন দপ্তরের উপবাজার ব্যাপকভাবে জমার সম্ভাবনা রয়েছে। তার জন্য অবশ্য পুরসভা ও প্রশাসনিক স্তরে উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। আধুনিক মানের পরিষেবা পেলে শহরের নাগরিকদের সেখানে কেনাকাটা করার জন্য বাড়তি আগ্রহ তৈরি হবে। শুধু তাই নয়, ওই উপবাজারকে কেন্দ্র করে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বহু বেকারের কর্মসংস্থান হবে।