বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, ঘরে মুরগি ঢুকে পড়া নিয়ে এদিন সকালে মামনির সঙ্গে প্রতিবেশীদের ঝগড়া বাধে। মামনির মা প্রতিমা মণ্ডলও তাতে যোগ দেয়। দু’পক্ষের মধ্যে গালিগালাজ চলে। দীর্ঘক্ষণ ধরে ঝগড়া চলায় তা থামানোর চেষ্টা করেন মামনির বৃদ্ধা শাশুড়ি লতাদেবী। তখনই তাঁর গলা চেপে ধরে মা ও মেয়ে মিলে লতাদেবীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে বলে অভিযোগ। ঘটনায় মৃতের ছোট ছেলে সুজয় ধাড়া তাঁর বউদি ও বউদির মায়ের বিরুদ্ধে জয়পুর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন।
বিষ্ণুপুরের এসডিপিও প্রিয়ব্রত বক্সি বলেন, জয়পুরের ঘাটশহর গ্রামে এক বৃদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ হয়েছে। ঘটনায় বৃদ্ধার বউমা ও বেয়ানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জয়পুরের শ্যামনগর গ্রামপঞ্চায়েতের ঘাটশহর গ্রামের বাসিন্দা লতা ধাড়ার দুই ছেলে বিজয় ও সুজয় বাড়িতে ছিলেন না। সেই সময় বাড়িতে মুরগি ঢুকে পড়াকে কেন্দ্র করে বিজয়ের স্ত্রীর সঙ্গে প্রতিবেশীদের ঝগড়া শুরু হয়। তাতে তাঁর শাশুড়িও যোগ দেয়। দীর্ঘক্ষণ ধরে গালিগালাজ চলতে থাকায় সুজয়ের বৃদ্ধা মা লতা ধাড়া স্থির থাকতে পারেননি। নিরীহ স্বভাবের লতাদেবী ঝগড়া থামাতে গিয়ে তাঁর বউমাকে বলেন, গ্রামে থাকতে গেলে প্রতিবেশীদের নিয়ে চলতে হবে। তাই শুধু শুধু ঝগড়া করে কি লাভ? বরং তিনি বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেন। শাশুড়ির একথা শুনে মামনি আরও উত্তেজিত হয়ে পড়ে। ঘরের ভাত খেয়ে অন্যের গুণ গাওয়া হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে মামনি প্রতিবেশীদের ছেড়ে লতাদেবীর উপর চড়াও হয়।
তাতে মামনির পক্ষ নেয় তার মা। প্রথমে মামনি লতাদেবীর চুলের মুঠি ধরে মারধর করে। প্রতিবাদ করলে দু’জনে মিলে বৃদ্ধার গলা চেপে ধরে। কিছুক্ষণ বাদে লতাদেবী নেতিয়ে পড়লে প্রতিবেশীরা তাঁকে জয়পুর ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনায় গ্রামে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্তদের বাড়িতে চড়াও হন। তাঁরা অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরে পুলিস এসে দুই অভিযুক্তকেই গ্রেপ্তার করে। খবর পেয়ে লতাদেবীর ছেলে দুই ছেলে বিজয় ও সুজয় বাড়ি ফেরেন।
বিজয়বাবু বলেন, সকালে আমি হাটে গিয়েছিলাম। পরে শুনলাম, বাড়িতে মুরগি আসাকে কেন্দ্র করে গালিগালাজ করা হয়েছে। সেই ঝামেলার জেরেই মাকে ধাক্কাধাক্কি করা হয়েছে। তাতেই মায়ের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার সময় আমার স্ত্রী ও শাশুড়ি ছিল।
মৃতের ভাইপো হিজলডিহার বাসিন্দা মলয় পোড়েল বলেন, আমার পিসিমাকে বাড়িতে অত্যাচার করা হতো। এদিন সকালে তাঁকে মেরে ফেলা হয়েছে। আমরা দোষীদের শাস্তি চাই।