বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে রবিবার বাঁকুড়া জেলাজুড়ে একাধিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওইদিন সকাল ৯টায় বাঁকুড়া স্টেডিয়ামে পতাকা উত্তোলন করে কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ করেন জেলাশাসক উমাশঙ্কর এস ও পুলিস সুপার কোটেশ্বর রাও। অন্যদিকে, মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বি আর আম্বেদকর স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন চিফ ইঞ্জিনিয়ার ও প্রকল্প প্রধান প্রধান নিখিল কুমার চৌধুরী। জেলা সদর ছাড়াও বিষ্ণুপুর ও খাতড়া মহকুমাতেও জেলা প্রশাসনের তরফে পৃথক কুচকাওয়াজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি সমস্ত রাজনৈতিক ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে কোথাও রক্তদান শিবির, পদযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও হাসপাতালে রোগীদের মধ্যে ফল ও মিষ্টি বিতরণের আয়োজন করা হয়। এসএফআই ও ডিওয়াইএফের উদ্যোগে বড়জোড়ায় মানববন্ধন করে দেশের অখণ্ডতা রক্ষায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার বার্তা দেওয়া হয়।
বাঁকুড়ার মতোই পুরুলিয়া জেলাজুড়ে সাড়ম্বরে সাধারণতন্ত্র দিবস পালিত হয়। জঙ্গলমহল সহ গোটা জেলাজুড়ে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হলেও কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। রবিবার ভিক্টোরিয়া স্কুলের মাঠে জেলার মূল অনুষ্ঠানটি হয়। পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদার, পুলিস সুপার এস সেলভা মুরগান সহ জেলাপুলিস ও প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকরা তাতে অংশগ্রহণ করেন। ছাত্রছাত্রীদের কুচকাওয়াজের পাশাপাশি বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সকলের মন কাড়ে। পরে শহরের হিলভিউ ময়দানে জেলাশাসক একাদশের সঙ্গে পুলিস সুপার একাদশের ক্রিকেট প্রতিযোগিতা হয়। তাতে পুলিস সুপার একাদশ জয়লাভ করে।
পুরুলিয়া শহর সহ জেলার অনান্য মহকুমা এবং থানা এলাকাতেও দিনটি যথাযোগ্য মর্যদায় পালিত হয়। পুরুলিয়া শহরে তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলন করেন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাত। অন্যদিকে, সাধারণতন্ত্র দিবসের দিনে বলরামপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বজরং দলের দু’জন নেতাকে পতাকা উত্তোলনের আগে কোনও কারণ ছাড়াই গ্রেপ্তার করা হয় বলে অভিযোগ বজরং দলের নেতাদের।
পুরুলিয়ার পুলিস সুপার বলেন, বিশেষ তথ্যের ভিত্তিতে তাদের প্রিভেন্টিভ অ্যারেস্ট করা হয়েছিল। পরে তারা জামিনে মুক্ত হয়। থানা থেকেই এবং সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে তারা যোগও দিয়েছিল। সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে আরামবাগের বয়েজ স্কুল মাঠেও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মহকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর।
মহকুমার সরকারি- বেসরকারি, কেন্দ্রীয় স্কুল ও কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের মোট ১৮টি দল প্যারেডে অংশ নেয়। এছাড়াও মহকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগেও বিশেষ ট্যাবলো বের হয়। সকাল ৯টায় জাতীয় পতকা উত্তোলন করেন আমারবাগের এসডিও লক্ষ্মী বি তান্নিরু।