বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
এনিয়ে বিষ্ণুপুরের এসডিপিও প্রিয়ব্রত বক্সি বলেন, পুলিসের পক্ষ থেকে ওভারলোডিং বন্ধের বিষয়ে নজরদারি চালানো হয়। এদিন সকালে কোতুলপুরের চেকপোস্ট এলাকার বাসিন্দারা ওভারলোডিং বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখে ওভারলোডেড লরি চলাচল বন্ধের জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিক্ষোভকারী স্মরজিৎ ভট্টাচার্য, অরুণাভ সেন বলেন, প্রতিদিন যেভাবে এই সড়ক দিয়ে ওভারলোড লরি যাতায়াত করছে। তাতে একদিকে যেমন রাস্তা বেহাল হয়ে পড়ছে, অন্যদিকে দুর্ঘটনা আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে রাত বাড়লেই ওভারলোড লরির দৌরাত্ম্যে সাধারণ মানুষের চলাচল অসম্ভব হয়ে ওঠে। এছাড়া মাঝেমধ্যেই ওভারলোডেড বালিবোঝাই লরি বিকল হয়ে রাস্তার মধ্যে পড়ে থাকে। তাতে যেমন যানজটের সৃষ্টি হয়, তেমন দুর্ঘটনাও ঘটে। আমরা এর আগেও লিফলেট বিলি করে ওভারলোড বন্ধের আবেদন জানিয়েছিলাম। কিন্তু, তাতে কোনও কাজ হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে এদিন ওভারলোডেড লরি আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাই।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর, রামসাগর, জয়পুর, কোতুলপুর, ওন্দা সহ বিভিন্ন জায়গায় বালি খাদান রয়েছে। প্রতিদিনই খাদান থেকে বালিবোঝাই লরি পৌঁছে যাচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। অভিযোগ, অতিরিক্ত বালিবোঝাই করে চলাচল করছে লরিগুলি। এতে একদিকে যেমন রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে, তেমনই ওভারলোডেড বালির লরি চলাচলের কারণে বেহালা হয়ে পড়ছে আরামবাগ-কোতুলপুর রাজ্য সড়ক। যদিও লরি চালকরা পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন পুলিসের বিরুদ্ধে। তাঁদের দাবি, পুলিস অতিরিক্ত টাকা নিয়ে ওভারলোডেড গাড়ি চালাতে বলছে। যদিও অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন পুলিস আধিকারিকরা।
গুরুদাস সিং নামে এক লরি চালক বলেন, বাঁকুড়া জেলার কোনও খাদান থেকে রাজস্ব দিয়ে বালিবোঝাই করে একটি লরিকে বাঁকুড়া ও হুগলি জেলার মোট সাতটি থানা পেরতে হয়। আর তা পেরনোর সময় প্রায় প্রতিটি থানার পুলিসদের টাকা দিতে হয়। অনেক সময় ওভারলোডেড গাড়ি না চালালেও পুলিস আমাদের থেকে টাকা নিয়ে থাকে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে, বিভিন্ন রকম মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেয়। তাই পুলিসকে খুশি করার জন্য টাকা দিতে গিয়েই বাধ্য হয়ে আমরা গাড়িতে বেশি বালি তুলি। অনেক থানা আবার মাসিক চুক্তি করে নেয়। আমরা সব সময় নিয়ম মেনে বালিবোঝাই করে গাড়ি চালাতে চাই। কিন্তু, তা করলে বিভিন্ন থানার বিভিন্ন পুলিস আধিকারিকদের টাকা দিয়ে লরি গন্তব্যে পৌঁছনোর পর মালিকদের খরচা বাদ দিয়ে উল্টে ঘর থেকে তেলের খরচ দিতে হয়। আর তা না হলে এক লাফে বালির দাম কয়েকগুণ বেড়ে যায়। যে কারণে পুলিসের চাপে পড়ে বাধ্য হয়ে আমরা ওভারলোড নিয়ে যাতায়াত করি।