কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিন দুপুর ৩টে থেকেই দলীয় কর্মীরা সেখানে জড়ো হতে শুরু করেন। সময়ের সঙ্গে বাড়তে থাকে জমায়েত। কয়েক হাজার দলীয় কর্মী সভায় শামিল হয়েছিলেন। এদিন শুরু থেকেই বক্তাদের সকলেই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ান। এনআরসি, এনপিআর ও সিএএ’কে জনবিরোধী নীতি বলে ব্যাখ্যা করা হয়। দেশের অর্থনৈতিক অচলাবস্থা, কর্মহীনের সংখ্যা বেড়ে চলা, নতুন কর্ম সংস্থান না হওয়া, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দর বেড়ে চলা ইত্যাদি বিষয় সভায় তুলে ধরা হয়।
ভরতপুর-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার ব্যর্থতার মুখ ঢাকতে এই আইন চালু করতে চাইছে। এই আইনের মাধ্যমে মানুষকে ব্যতিব্যস্ত করে রাখতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। যাতে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে দেশের মানুষ না আন্দোলনমুখী হয়ে পড়েন। মানুষের মধ্যে দাঙ্গা লাগিয়ে ক্ষমতায় থাকতে চাইছে তারা।
জেলা যুব সভাপতি রবিউল আলম বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার জোর করে দেশের প্রতিটি মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করতে চাইছে। কিন্তু, আমাদের রাজ্য সরকার তার প্রতিবাদ করছে। ইতিমধ্যে নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে বিধানসভায় রাজ্য সরকার বিল আনতে চলেছে।
উল্লেখ্য, ভরতপুর-২ ব্লকে লাগাতার সাতদিন ধরে প্রতিটি অঞ্চলে নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বর পক্ষ থেকে সভা করা হচ্ছে। তারমধ্যে এদিন সালারে শেষ সভাটি হয়। ওই সভায় যেমন কোলে বাচ্চা নিয়ে কর্মীদের আসতে দেখা গিয়েছে। তেমনই ৮০বছরের বৃদ্ধকেও সভায় অংশ নিতে দেখা গিয়েছে। সভামঞ্চে পুরোহিত ও ইমামদের উপস্থিতির মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা দেওয়া হয়। এবিষয়ে ভরতপুর-২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি মহম্মদ আজাহারউদ্দিন বলেন, বিজেপি সরকার গোটা দেশে সাম্প্রদায়িক বিভেদ তৈরি করে মানুষের মধ্যে দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এর প্রতিবাদে গোটা দেশের সঙ্গে এই এলাকার মানুষ একসঙ্গে প্রতিবাদ আন্দোলনে নেমেছেন। শুধু দলীয় কর্মী বলে নয়, এই প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন সর্বস্তরের সব দলের মানুষ।