কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
কৃষ্ণনগর পুলিস জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার(গ্রামীণ) কৃশানু রায় বলেন, সাধারণতন্ত্র দিবসের জন্য নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সতর্কতামূলক সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রানাঘাট জেলার পুলিস সুপার ভিএসআর অনন্তনাগ বলেন, জেলার নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করা হয়েছে। জাতীয় সড়ক থেকে হোটেল সব জায়গায় নজরদারি চালানো হচ্ছে। জেলার বিভিন্ন জায়গায় নাকা চেকিং চলছে।
জেলা পুলিস প্রশাসন সূত্রে খবর, জেলায় ২২৪ কিলোমিটার এলাকা বর্ডার এলাকা হিসাবে চিহ্নিত হয়ে রয়েছে। তারমধ্যে রয়েছে, করিমপুর ১,২, তেহট্ট ১, চাপড়া, কৃষ্ণগঞ্জ, হাঁসখালি, রানাঘাট ২। আর রানাঘাট পুলিস জেলায় রয়েছে দু’টি থানা। একটি হাঁসখালি, অন্যটি ধানতলা। কৃষ্ণনগর পুলিস জেলার মধ্যে বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া সাতটি থানা রয়েছে। ভীমপুর, চাপড়া, কৃষ্ণগঞ্জ, তেহট্ট, করিমপুর, মুরুটিয়া, হোগলবেড়িয়া। করিমপুর ১ ব্লকে ৪৬ কিলোমিটার এলাকা, করিমপুর ২ ব্লকে ৩৪.৪ কিলোমিটার, তেহট্ট ১ ব্লকে ৪৪কিলোমিটার, চাপড়ায় ৩৫কিলোমিটার, কৃষ্ণগঞ্জে ৪০ কিলোমিটার, হাঁসখালিতে ৪০কিলোমিটার, রানাঘাট ২ ব্লকে ৮.৫ কিলোমিটার এলাকা সীমানা সংলগ্ন এলাকা হিসাবেই চিহ্নিত। জেলা পুলিসের এক কর্তা বলেন, শনিবার সন্ধ্যা থেকে নজরদারি বাড়ানো শুরু হয়। রবিবার নিয়ম মতোই পুলিস এবং বিএসএফ বিশেষ সতর্ক থাকে।
এদিকে, সেই হিসেবে স্টেশনগুলিতে নিরাপত্তার হাল অনেকটাই ঢিলেঢালা। মূলত রানাঘাট জংশনে ঢিলেঢালা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রেলযাত্রী থেকে শুরু করে রানাঘাট স্টেশনের ব্যবসায়ীরাও। রানাঘাট স্টেশনটি পূর্ব রেলের শিয়ালদহ ডিভিশনের পর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রেলস্টেশন। রানাঘাটের একদিকে রয়েছে গেদে বাংলাদেশ সীমান্ত। অন্যদিকে, রয়েছে বনগাঁ ও বাংলাদেশ সীমান্ত। অথচ সীমান্তবর্তী গুরুত্বপূর্ণ এই রেল স্টেশনে সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে সেভাবে কোনও নজরদারি নেই বলেই অভিযোগ। নাশকতার বিষয়ে এড়াতে বিশেষ কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় রেল পুলিসের পক্ষ থেকে। এমনটাই অভিযোগ তুলেছেন রেলের যাত্রীরা। যদিও রেল পুলিসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, শনিবার সকাল থেকে রানাঘাটে যাত্রীদের ব্যাগপত্র চেকিং করা হয়েছে। বাড়তি নজরদারি চালানো হচ্ছে।
বছর কয়েক আগেও এই স্টেশনের প্রবেশ ও বাহির পথে ছিল অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মেটাল ডিটেক্টরের দরজা। তা এখনও বন্ধ। রানাঘাট স্টেশনের প্রবেশের জন্য ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দু’টি পৃথক প্রবেশ পথ রয়েছে। রানাঘাট পূর্ব পাড়ের এলাকা থেকে ফুটব্রিজ পার হয়েও সরাসরি প্রবেশ করা যায় এই স্টেশনের ২,৩ ও ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে। অন্যদিকে, স্টেশনের দক্ষিণ প্রান্ত দিয়ে ৫৬ নম্বর রেলগেট হয়ে ৪, ৫ ও ৬নম্বর প্ল্যাটফর্মে অবাধে প্রবেশ করা যায়। আবার স্টেশনের উত্তর দিক থেকেও রেললাইন ধরে ১,২ ও ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করা যায়। চারিদিক পুরোপুরি খোলা হওয়ায় যেকোনও ঘটনা ঘটিয়ে দুষ্কৃতীরা সহজেই পালিয়ে যেতে পারবে। অথচ এইসব এলাকাগুলিতে রেল পুলিসের তেমন কোনও নজরদারি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ। সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ভারতের গুরুত্বপূর্ণ জংশন রানাঘাট স্টেশন দুষ্কৃতীদের টার্গেট হতে পারে। বহু সময়ই নাশকতাকারীদের হুমকির ক্ষেত্রে রানাঘাট স্টেশনকে তালিকায় রাখা হয়েছে। তারপরও এমন নিরাপত্তার হাল নিয়ে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে। রেলের হকার থেকে স্টেশনের ব্যবসায়ী, যাত্রী সকলেই বিষয়টি নিয়ে অসন্তুষ্ট।