বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সাংগঠনিক এই রদবদল প্রসঙ্গে জেলা সভাপতি শুভাশিস বটব্যাল বলেন, পুরোটাই দিদির সিদ্ধান্ত। তাই এ বিষয়ে আমার বলার কিছুই নেই। দিদি আমাকে পুরো জেলার দায়িত্ব দিয়েছেন। তাই আসন্ন পুরসভা নির্বাচনে জেলার তিনটি পুরসভাই দিদির হাতে তুলে দেওয়াটাই এখন আমার প্রথম লক্ষ্য। মূল সংগঠনের মতো শাখা সংগঠনগুলিকে এক সাংগঠনিক জেলায় আনার প্রসঙ্গে শুভাশিসবাবু বলেন, দল যদি সেরকম কোনও নির্দেশ দেয় তাহলে আমরা সেটাই করব।
অন্যদিকে, কার্যকরী সভাপতির দায়িত্ব পাওয়া শ্যামল সাঁতরা বলেন, দল আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছে, তা সঠিকভাবে পালন করে সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ ও মজবুত করে তোলার চেষ্টা করব।
প্রসঙ্গত, বাঁকুড়া জেলার তিনটি পুরসভা ও ২২টি পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ ও ১২টির মধ্যে সোনামুখী ও বড়জোড়া বাদে ১০টি বিধানসভা শাসক দলের দখলে থাকার পরেও লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া জেলায় গেরুয়া ঝড় বয়ে যায়। জেলার বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর দু’টি লোকসভা কেন্দ্রেই বিশাল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয় বিজেপি। তারপরেই তৃণমূল কংগ্রেসের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি অরূপ খাঁকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেয় শাসক দল। পাশাপাশি জেলাকে বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর দু’টি সাংগঠনিক জেলায় ভাগ করে শুভাশিস বটব্যাল ও শ্যামল সাঁতরাকে জেলা সভাপতির দায়িত্ব দেয় তৃণমূল। পরবর্তী সময়ে দলের শাখা সংগঠন যুব তৃণমূল, মহিলা তৃণমূল, সংখ্যালঘু সেল, এসসি এসটি সেল সহ সমস্ত শাখা সংগঠনকেই সাংগঠনিক জেলা হিসেবে ভাগ করা হয়েছিল। প্রায় আট মাস ধরে দু’টি সাংগঠনিক জেলা হিসেবেই দলের কর্মসূচি চলছিল।
তৃণমূল সূত্রে খবর, রাজ্যের প্রতিটি জেলাতেই একাধিক লোকসভা আসন থাকলেও সেখানে দলের জেলা সভাপতি একজনই রয়েছেন। রাজ্যে শাসক দলের সাংগঠনিক ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ছিল শুধু বাঁকুড়া জেলা। তাই এই ব্যতিক্রমীর তকমা ঘুচিয়ে এক জেলা এক সংগঠন নীতিতে ফিরতেই মুখ্যমন্ত্রী আলোচনার মাধ্যমে ভেঙে দেওয়া বাঁকুড়া জেলাকে ফের জুড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তবে আগের মতোই বিষ্ণুপুর মহকুমার উপরে শ্যামলবাবুকেই বেশি করে জোর দিতে বলা হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে।
এদিকে, শুক্রবার কলকাতায় দলনেত্রী ফের দলের মূল সংগঠনকে এক করে দেওয়ার কথা ঘোষণার পরেই জেলার বিভাজিত শাখা সংগঠনগুলিকেও এক করা হবে কি না তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। যদি তা হয় তাহলে সেগুলির জেলা সভাপতির দায়িত্ব কে পাবেন, তা নিয়ে শাসক দলের অন্দরে ব্যাপক গুঞ্জন ছড়িয়েছে।