বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় আটমাস আগে আরামবাগ পুরসভার পারুল ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শঙ্কর দাসের বড় ছেলে সাহেবের সঙ্গে দেখাশোনা করে বিয়ে হয় শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ব্যানার্জি পাড়ার বাসিন্দা বিকাশ রঞ্জন বেরার মেয়ে মউয়ের। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন মউয়ের উপর বিভিন্ন সময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাত। গত ৫ ডিসেম্বর সাহেব তার স্ত্রীকে নিয়ে খানাকুলের চন্দ্রবাণ এলাকায় মামাশ্বশুরের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিল। অভিযোগ, ওইদিন রাতে মদ্যপ অবস্থায় সাহেব তার স্ত্রীকে নাচ করতে বলে। কিন্তু, মউ তা না করায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি চরমে পৌঁছয়। এরপর বউভাতের অনুষ্ঠানের আগেই সাহেব স্ত্রীকে রেখে দিয়ে একাই আরামবাগে ফিরে আসে। তারপরের দিন সকালে মউকে সঙ্গে নিয়ে তার মা জামাই বাড়িতে হাজির হন।
অভিযোগ, সেই সময় স্ত্রী ও শাশুড়িকে মারধর করে সাহেব। পরে গণ্ডগোলের খবর পেয়ে জামাই বাড়িতে আসেন মউয়ের বাবা বিকাশরঞ্জনবাবু। সাহেব তার উপরেও চড়াও হয় বলে অভিযোগ। তাঁকে বেধড়ক মারধরের পাশাপাশি নাকে কামড় বসিয়ে একাংশ ছিঁড়ে নেয় সাহেব। ঘটনায় গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালেই তাঁর নাকে অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর মউ আরামবাগ থানায় তাঁর স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও দেওরের নামে অভিযোগ দায়ের করে।
যদিও সাহেবের পাল্টা অভিযোগ, আমরা কেউই তাদের মারধর করিনি। উল্টে ওরা আমাদের বাড়িতে এসে মারধর করে গিয়েছে। জখম অবস্থায় আমরা হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েছি। আমরাও আরামবাগ থানায় অভিযোগ করেছি। আমাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।