বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, হবিবপুষ্করিণী গ্রামে বাইক চুরি করে পালানোর সময় এক যুবককে গ্রামবাসীরা হাতেনাতে পাকড়াও করেন। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চুরি করে নিয়ে যাওয়া বাইকটি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। পাশাপাশি যে বাইকে করে সে চুরি করতে এসেছিল, সেটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেটিও চোরাই বাইক কি না, তা যাচাই করা হচ্ছে। ঘটনায় কোনও বড় চক্র জড়িত রয়েছে কি না, তা জানার চেষ্টা চলছে।
বিজেপির পাত্রসায়র-১ মণ্ডল সভাপতি দেবানন্দ সরকার বলেন, রাজেন্দ্র মাঝি দলের মজদুর সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তাকে পুলিস বাইক চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার করেছে বলে শুনেছি। আইন আইনের পথে চলবে। দোষী হলে শাস্তি পাবে। দল তাতে কোনওরকম হস্তক্ষেপ করবে না।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাত্রসায়রের হবিবপুষ্করিণী গ্রামের বাসিন্দা অশোক সাহার বাড়ি থেকে ওইদিন বাইক চুরির চেষ্টা করে রাজেন্দ্র। বৃহস্পতিবার রাতে ওই গ্রামে নিজের বাইক নিয়ে ঢোকে সে। তারপর বাইকটি গ্রামের এক প্রান্তে রেখে রাত ১১টা নাগাদ ওই যুবক অশোকবাবুদের বাড়িতে হানা দেয়। পরিবারের লোকজন সেই সময় শুয়ে পড়েছিলেন। হঠাৎ গেট খোলার আওয়াজ পেয়ে অশোকবাবু উঠে দেখেন, একজন লোক তাঁর বাইকটি চালিয়ে নিয়ে পালাচ্ছে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে দৌড়ে গিয়ে বাইকের পিছনের অংশ টেনে ধরেন। এরপর দু’জনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ টানা হেঁচড়া চলে। ওই অবস্থাতেই অশোকবাবু চিৎকার করলে বাড়ির লোকজন চলে আসেন। ততক্ষণে প্রতিবেশীরা এসে তাকে পাকড়াও করে। এরপর তাকে উত্তম-মধ্যম দেওয়া হয়। সে ওই গ্রামেরই জামাই বলে চিনতে পারার পর তাকে পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। রাতেই পুলিস তাকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্বশুরবাড়ি হওয়ার কারণে ওই গ্রামে কোন বাড়িতে বাইক কোথায় রাখা থাকে, রাজেন্দ্র তা আগে থেকেই জানত। সেইমতো বৃহস্পতিবার নিজের বাইক গ্রামের এক প্রান্তে রেখে চুরি করতে ঢোকে। শীতকাল হওয়ায় সে ভেবেছিল, বাড়ির লোকজন তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়বে। সেইমতো রাত ১১টা নাগাদ সে বাড়ির গেট টপকে ঢুকে পড়ে। কিন্তু, ওইদিন বাড়ির কিছু কাজ সারতে গিয়ে আশোকবাবুর শুতে দেরি হয়। আর সেটাই রাজেন্দ্রর কাছে কাল হয়। উঠোনে থাকা বাইক চুরি করে পালানোর সময় সে হাতেনাতে ধরা পড়ে।