গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বাঘরোলের ছবি সহ পোস্টার সাঁটিয়ে প্রচার অভিযান চালায় বনদপ্তর। প্রচারে মূলত বন এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের আবেদন জানানো হয়। বলা হচ্ছে, বাঘরোল বা মেছো বিড়াল বিভিন্ন জলাভূমি বা তার সংলগ্ন এলাকায় থাকে। এদের দেখা গেলে অযথা ভয় পাবেন না, আতঙ্কিত হবেন না বা গুজব ছড়াবেন না। মানুষের পক্ষে এরা ক্ষতিকারক নয়, মানুষের উপর এরা আক্রমণ করে না। বরং মানুষকে এরা ভয় পায় এবং মানুষের থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করে। বিপন্ন এই প্রাণীদের কোনওরকম ক্ষতি বা আঘাত করা দণ্ডনীয় অপরাধ।
বুধবার রাতে ফুলিয়া চটকাতলা এলাকার বধূ মমতা বসাক অজানা সেই প্রাণীকে দেখেছেন বলে দাবি করতেই ঘটনাস্থলে আসেন বনদপ্তরের কর্মীরা। ফের নতুন করে কৌতূহল ছড়ায় এলাকায়। এরপরই এদিন শান্তিপুর ব্লকে মাইক নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে বনদপ্তরের কর্মীরা ময়দানে নামেন। প্রসঙ্গত, সপ্তাহ খানেক ধরে এইসব এলাকায় মাঝরাতে বা সন্ধ্যায় মাঝেমধ্যে একটা গম্ভীর ডাক বা আর্তনাদের মতো আওয়াজ শুনতে পাওয়া যাচ্ছে। রাতের অন্ধকারে অনেকেই বাড়ি থেকে হাতে লাঠি ও টর্চ নিয়ে বাইকে বের হচ্ছেন না। বাড়ির বাইরে লাইট জ্বেলে রাখছেন অনেকেই। বন্যপ্রাণী উদ্ধারকারী দলের এক সদস্য অনুপম সাহা বলেন, সকাল ন’টা থেকে প্রায় ছ’ঘণ্টা শান্তিপুর ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় গাড়ি নিয়ে প্রচার করা হয়েছে। মানুষ যেন বিপন্ন এই প্রাণীদের কোনওরকম ক্ষতি না করে, তারজন্য এলাকার বাসিন্দাদের সচেতন করা হয়েছে।