পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ভাইরাল হওয়া ছবির কমেন্ট বক্সে কেউ লিখছেন, সব ভালোবাসা এরকমভাবেই পূর্ণতা পাক। আবার কেউ লিখছেন, ভালোবাসলে এভাবেই হাজার প্রতিকূলতা এড়িয়ে বিয়ের পিঁড়ি পর্যন্ত সকলের যাওয়া উচিত। আবার নেটিজেনদের অনেকেই আবেগঘন মুহূর্তের এই ছবি দেখে চোখের জল ফেলছেন।
জিয়াগঞ্জের সধুগঞ্জের ঋষভ দাসের সঙ্গে এলাকারই মেয়ে রিঙ্কি সিংহরায়ের আট বছরের সম্পর্ক। বহু প্রতিকূলতা পেরিয়ে অবশেষে তাঁরা বিয়ের পিঁড়িতে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ঋষভবাবুর জিয়াগঞ্জেই ওষুধের দোকান রয়েছে। তিনি বলেন, আমরা মনে মনে বিয়ের পিঁড়িতে বসার বিশেষ মুহূর্তগুলির কথা ভাবতাম। সেই দিনটা সত্যিই যে আমাদের জীবনে আসতে পারে, তা ভাবতে পারিনি। বিশেষ এই দিনে পৌঁছনোর জন্য অনেক প্রতিকূল পথ পেরিয়ে আসতে হয়েছে। সেই কারণে শুভদৃষ্টির সময় আবেগে কেঁদে ফেলেছিলাম। আমাদের দু’জনেরই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এবার ওঁকে নিয়ে সুখে ঘর করতে চাই।
মনের মানুষকে পেয়ে খুশি স্ত্রী রিঙ্কিও। তিনি বলেন, ওই দিনটি আমাদের দু’জনের কাছেই ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওঁকে শুভদৃষ্টির সময় দেখে খুব আনন্দ হয়েছিল। কিন্তু যখন ও কান্না শুরু করেছিল তখন আমি নিজেকে সামলাতে পারেনি। আমার চোখেও জল চলে আসে। আমরাও চাই সব প্রেমই এভাবে বিয়ের পিঁড়ি পর্যন্ত যেন পৌঁছয়। ভিডিওতে সবাই বিভিন্ন রকমের কমেন্ট করছে। তাতে ভালোই লাগছে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৭ জানুয়ারি জিয়াগঞ্জের একটি অনুষ্ঠান ভবনে বিয়ের আসর বসেছিল। প্রায় ৯৫০ জন আমন্ত্রিত ছিলেন। তবে শুভদৃষ্টির সময় গুটি কয়েক জনের হাতেই মোবাইল ছিল। ঋষভের বন্ধুরা তাঁদের কাছে দাঁড়িয়েই মজা করছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই পাত্রকে কাঁদতে দেখে তাঁরাও কিছুটা থতমত খেয়ে যান। কিছুক্ষণ পরেই অবশ্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যেতে হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন সকলে। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই দৃশ্য আপলোড হতে অবশ্য বেশি দেরি হয়নি। নেটিজেনরাও তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করছেন সেই দৃশ্য। ভিডিওর ব্যাকগ্রাউন্ডে বিশেষ গান দিয়ে তাঁরা সেই দৃশ্য আরও রোমান্টিক করে তুলেছেন। নেটিজেনদের কাছে এখন অন্যতম চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে ঋষভ-রিঙ্কির প্রেম কাহিনী।