কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
অভিযোগকারী ব্যবসায়ী বলেন, আগস্ট মাস থেকে আমি সক্রিয়ভাবে কংগ্রেস করছি। এরজন্য কয়েকজন তৃণমূল কর্মী প্রায়ই আমাকে হুমকি দিত। এরপর বৃহস্পতিবার সেই হুমকি উপেক্ষা করে আমি কান্দিতে অধীর চৌধুরীর কর্মিসভায় গিয়েছিলাম। সভা থেকে ফিরে আসার পর আমাকে কয়েকজন তৃণমূলের দুষ্কৃতী দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। এরপর রাত দেড়টা নাগাদ আমার স্টেশনারি দোকানে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। প্রায় ২০ হাজার টাকার সামগ্রী পুড়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও পাশের একটি সাইকেল ও চায়ের দোকান আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এবিষয়ে কান্দি মহকুমা তৃণমূলের সভাপতি সফিউল আলম খান বলেন, সোমনাথবাবু শুধু নিজে হাজির হননি, পুলিসকে জানিয়েছি অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার করা না হলে আন্দোলনে নামা হবে।
যদিও তৃণমূলের কান্দি শহর সভাপতি দেবল দাস বলেন, আগুনে দোকান পুড়ে যাওয়ার ঘটনার জন্য আমরা পুলিসকে জানিয়েছি। নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের গ্রেপ্তার করা হোক। তবে এই ঘটনায় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে উস্কানি দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূল এখানে যথেষ্ট শক্তিশালী। এই ধরনের কাজকর্মের সঙ্গে আমাদের দলের কেউ জড়িত নেই।
এদিকে অধীরবাবু বলেন, আমাদের ওই কর্মীর দোকান তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা পুড়িয়ে দিয়েছে। এটাই তৃণমূলের কালচার। কিন্তু কংগ্রেসকে এভাবে দমিয়ে রাখা যাবে না। এর বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে উঠবে।
অন্যদিকে, শুক্রবার অধীরবাবু বড়ঞা থানার করালীতলা এলাকায় একটি কর্মিসভা করেন। এদিন সেখানে হাজির ছিলেন বড়ঞা’র বিধায়ক প্রতিমা রজক, কান্দির বিধায়ক সফিউল আলম খান প্রমুখ। ওই কর্মিসভায় অধীরবাবু বলেন, লোকসভা ভোটে এখানকার তৃণমূলের গুন্ডারা আমাদের কর্মিদের ঠিকমতো প্রচার পর্যন্ত করতে দেয়নি। ভোটের দিনেও কংগ্রেসের ভোটারদের হুমকি, ভয় দেখানো হয়েছিল। তবুও এই এলাকার মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছেন, সেটা ফলাফলে দেখা গিয়েছে। মানুষ যদি একবার মনের মধ্যে কোনও কিছু গেঁথে ফেলেন সেটা হাজার চেষ্টা করেও আটকানো যায় না। যেমনটা হয়েছে এখানকার লোকসভা ভোটে।
তিনি আরও বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে কংগ্রেস যে প্রাসঙ্গিক সেটা মানুষ বুঝতে পেরেছেন। তাই কংগ্রেস ছাড়া যে দেশ চলবে না, এটাও মানুষ বুঝতে পেরেছেন। মানুষের এই ভাষা আমাদের দলে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা ভালো করে বুঝে নিন। দল করতে এসে নিজেদের মধ্যে আলাপচারিতায় ব্যস্ত না থেকে মানুষের মনের ভাষা বোঝার চেষ্টা করুন। কয়েকদিনের মধ্যেই প্রতিটি এলাকায় ব্লক কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে বুথ কমিটির সদস্যদের আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করতে হবে। এলাকার প্রতিটি মানুষের কাছে গিয়ে দলের প্রাসঙ্গিকতা বোঝাতে হবে।