বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও কোনও পুরসভাতেই প্রার্থী তালিকা ঠিক হয়নি। যাঁদের ওয়ার্ড সংরক্ষণ হয়েছে তাঁদের ভবিষ্যৎ কী হবে সেটাও চূড়ান্ত হয়নি। তবে এবারের নির্বাচনে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতা বা কর্মীদের টিকিট দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। দলীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বহরমপুর পুরসভার নির্বাচনে শহরে এক প্রাক্তন হেভিওয়েট জনপ্রতিনিধি টিকিট পাবেন কিনা তা নিয়ে সবচেয়ে চর্চা বেশি রয়েছে। দলের একটা অংশ তাঁকে টিকিট না দেওয়ার পক্ষেই সওয়াল করেছেন। এছাড়া শহরের আরও দু’থেকে তিনজন প্রাক্তন কাউন্সিলারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভার পাঁচ থেকে ছ’জন কাউন্সিলারের জনসংযোগ তলানিতে ঠেকেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নানা বিষয়ে গুঞ্জন রয়েছে। তাই এবার তাঁরা টিকিট পাবেন কিনা তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন। লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে এই শহরে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে। তাই দলের কর্মীরা চাইছেন, জনসংযোগ হারানো নেতাদের সরিয়ে শহরের জনপ্রিয় লোকজনদের টিকিট দেওয়া হোক। তাহলেই হারানো জমি উদ্ধার করা সম্ভব হবে। এই পুরসভার চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ ঘোষের ওয়ার্ডও সংরক্ষণ হয়ে গিয়েছে। তিনি এবার কোন ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হবেন তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। প্রসেনজিৎবাবু বলেন, দল যা সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই মেনে চলব। জঙ্গিপুর পুরসভারও পাঁচ থেকে ছ’জন কাউন্সিলারকে নিয়ে নানা গুঞ্জন রয়েছে। তাছাড়া এই পুরসভার চেয়ারম্যান মোজাহারুল ইসলামের ওয়ার্ডটিও সংরক্ষিত হয়ে গিয়েছে। চেয়ারম্যান বলেন, আমি যে ওয়ার্ডে থাকি সেটা জেনারেল রয়েছে। এবার দল কী সিদ্ধান্ত নেবে সেটা দেখার। দলীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ধুলিয়ান, লালবাগ এবং কান্দি পুরসভারও বেশ কয়েকজন কাউন্সিলারের টিকিট পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। দলের এক নেতা বলেন, জঙ্গিপুর বাদ দিয়ে সব পুরসভায় বিরোধীরা ঘুঁটি সাজাচ্ছে। কংগ্রেস এবং সিপিএম একসঙ্গেই জোট গড়ে লড়তে চাইছে। তাই দলকে প্রার্থী বাছাইয়ের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। যেসব কাউন্সিলারের জনপ্রিয়তা নেই তাঁদের টিকিট দিলে ক্ষতি হবে। প্রসঙ্গত, প্রতিটি পুরসভাতেই ভোট পরিচালনার জন্য কমিটি গঠন করে দিয়েছেন মুর্শিদাবাদ জেলার তৃণমূলের পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী। ওই কমিটি সাংগঠনিক কাজ শুরু করেছে। প্রতিটি পুরসভাতেই বৈঠক করা হয়েছে। বহরমপুর পুরসভায় ২৮জনের কমিটি গঠনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই কমিটিই প্রার্থী বাছাই থেকে ভোটের রণকৌশল ঠিক করবে।
দলীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ জেলার পর্যবেক্ষক প্রতিটি শহরে নাগরিক কনভেনশন করবেন। শহরের বাসিন্দাদের কাছে তিনি সমস্যার কথা জানতে চাইবেন। তাছাড়া পুরসভাগুলি এই কয়েক বছরে কী কী কাজ করেছে সেটাও তারা ছাপিয়ে জনতার হাতে তুলে দেবে। জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ এবং মুর্শিদাবাদ পুরসভা থেকে জেলা পর্যবেক্ষক নাগরিক কনভেনশন শুরু করবেন। তারপরে প্রার্থী তালিকা ঠিক হবে। তবে টিকিট পাওয়ার জন্য এখন থেকেই অনেকেই দৌড়াদৌড়ি শুরু করেছেন। বিভিন্ন জায়গায় তাঁরা বায়োডাটা নিয়ে দরবার শুরু করেছেন। মুর্শিদাবাদ জেলার তৃণমূলের মুখপাত্র অশোক দাস বলেন, কে প্রার্থী হবেন আর কে হবেন না, সেটা দল ঠিক করবে।