বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সমবায় দপ্তর, ‘এনআরএলএম’ (ন্যাশনাল রুরাল লাইভলিহুড মিশন), সুডা তথা এসইউডিএ (স্টেট আরবান ডেভোলপমেন্ট এজেন্সি) সহ বিভিন্ন দপ্তর এজেন্সির অধীনে পূর্ব বর্ধমান জেলায় মোট ৫০ হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। তার মধ্যে ৪০ হাজার ২৩৭টি স্বনির্ভর গোষ্ঠী সক্রিয়। বাকি গোষ্ঠীগুলি এখনও সক্রিয় গোষ্ঠীর তালিকায় আসেনি। ওই ৪০ হাজার সক্রিয় স্বনির্ভর গোষ্ঠী পাঁচ হাজার টাকা করে পাবে। বাকি গোষ্ঠীগুলি পরবর্তী সময়ে সক্রিয়ের তালিকায় পৌঁছালে তারাও টাকা পাবে। প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি সক্রিয়ের তালিকায় আসার জন্য কিছু নিয়ম রয়েছে। যেমন, সরকারি নিয়ম মেনে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তাদের নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকবে। এবং ওই অ্যাকাউন্টে নিয়মিত লেনদেন হতে হবে। এমনকী, ওই অ্যাকাউন্টে টাকাও জমা থাকতে হবে। নিয়মিত মিটিং করতে হবে। রেজ্যুলেশন বুক থাকতে হবে। এছাড়াও গোষ্ঠীর গ্রেডেশন থাকতে হবে। ব্লক প্রশাসনের তরফে ব্যাঙ্কের পাসবুক খতিয়ে দেখে, লেনদেন দেখে গোষ্ঠীগুলিকে গ্রেড দেওয়া হয়। সক্রিয় তালিকায় থাকার জন্য এই গ্রেডেশনও দরকার।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৯ নভেম্বর এই জাগো প্রকল্প শুরু হয়েছে। ওইদিনই প্রকল্পের সরকারি পোর্টালের উদ্বোধন হয়েছে। তবে, এখনও বিভিন্ন জেলা পোর্টাল লগ-ইনের পাসওয়ার্ড পায়নি। তবে, প্রতিটি জেলার আধিকারিকদের ওই পাসওয়ার্ড দেওয়া হচ্ছে। এক আধিকারিক বলেন, ইতিমধ্যেই স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকতে শুরু করেছে। কিছুদিনের সক্রিয় ওই ৪০ হাজার গোষ্ঠীর অ্যাকাউন্টেই টাকা ঢুকে যাবে। রাজ্য থেকে টাকা দেওয়ার আগে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি মিলিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তারপরই টাকা দেওয়া হচ্ছে। ওই পাঁচ হাজার টাকা প্রতিটি গোষ্ঠী নিজেদের উন্নতিকরণে কাজে লাগাতে পারবে। অনেক সময় টাকার অভাবে গোষ্ঠীর অ্যাকাউন্টে টাকা জমা থাকে না। সে ক্ষেত্রে ঋণ পেতে সমস্যা হয়। ওই পাঁচ হাজার টাকা প্রতিটি গোষ্ঠী নিজেদের অ্যাকাউন্টে জমা রাখলে সেই সমস্যা থেকেও রেহাই পাবে। এছাড়াও তারা গোষ্ঠীর যে কোনও কাজে লাগাতে পারবে। প্রশাসনের দাবি, অনেক গোষ্ঠী ‘নিষ্ক্রিয়’ হয়ে পড়েছিল। কিন্তু, সরকারি অনুদান মেলায় প্রতিটি গোষ্ঠীই চাঙ্গা হবে। রাজ্য সরকারের এই নতুন উদ্যোগে গোষ্ঠীর সদস্যরাও খুশি।
এ ব্যাপারে পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতী বলেন, ‘জাগো’ একটি নতুন প্রকল্প। সম্প্রতি, এই প্রকল্প রাজ্যজুড়েই চালু হয়েছে। সক্রিয় স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে পাঁচ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। এই অনুদানে আমাদের জেলার সমস্ত সক্রিয় স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি উপকৃত হবে। এই আর্থিক সহায়তায় প্রতিটি গোষ্ঠী নিজেদের আপ গ্রেডেশন করতে পারবে এবং গোষ্ঠীর কাজে লাগাতে পারবে।