কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
গ্রামবাসীরা বলেন, ভোর রাত থেকে শুরু করে রাত নটা পর্যন্ত মাটিকাটা চলে। কামারখালি এলাকা চাপড়া থানার অন্তর্ভুক্ত। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, মাটি কেটে ট্রাক্টরে করে মালিয়াপোতা হয়ে পুটিমারি যাওয়ার রাস্তা দিয়ে জোরকদমে অবৈধভাবে মাটি কেটে নিয়ে যাওয়া হয়। মাটি মাফিয়ারা ওই মাটি স্থানীয় কোনও ইটভাটা কিংবা ব্যবসায়ীদের বেচে দেয়। মাটি কেটে ট্রাক্টরের করে ওই রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তারজন্য ভোগান্তি বাড়ছে এলাকার বাসিন্দাদের। মাটি কাটার সময় স্থানীয় এলাকা ধুলোয় ভরে যায়। দিনরাত গাড়ি যাওয়ায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। মাটি কাটার শব্দে বাচ্চারা রাতে ঘুমোতে পারে না। অন্যদিকে, মালিয়াপোতা থেকে পুটিমারি যাওয়ার রাস্তা সংকীর্ণ হওয়ায় চারচাকা কোনও গাড়ি গেলে বিপরীত রাস্তা দিয়ে আর গাড়ি যেতে পারে না। ফলে সমস্যা হয়।
একাধিক ট্রাক্টর যাতায়াত করায় সাধারণ মানুষের যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। ওই এলাকায় অধিকাংশ মানুষই কৃষিজীবী। কাজেই জমিতে চাষের জন্য যেতে গেলেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাঁদের। আরও অভিযোগ, ট্রাক্টরে মাটি নিয়ে যাওয়ার সময় একাধিক মাটির দলা পড়ে থাকছে রাস্তায়। তারজন্য সমস্যা হচ্ছে। যাতায়াত করতে গিয়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকছে। সবকিছু নিয়ে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা এদিন সকালে বেশকিছু ট্রাক্টর আটকে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের দাবি, এই সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে প্রশাসন উদাসীন। এসবের জন্যই বৃহস্পতিবার স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখান। বেশ কিছু ট্রাক্টর আটক করা হয়। ট্রাক্টর চালকরা এই রাস্তা দিয়ে আর আসা যাওয়া করবে না জানালে গ্রামবাসী তাদের ছেড়ে দেন। খবর পেয়ে তেহট্ট পুলিস ঘটনাস্থলে যায়। স্থানীয়দের দাবি, পুলিস আসার আগেই বিক্ষোভ উঠে যায়। পুলিস জানিয়েছে, মাটি কাটার অভিযোগ কিংবা বিক্ষোভের কোনও বিষয় নিয়ে অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। তবুও পুলিস সেখানে যায়। কিন্তু সেখানে গিয়ে কোনও বিক্ষোভ দেখা যায়নি। আদপে কী হয়েছিল তা খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।