পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল তা নিয়ে ধন্দে রয়েছে পুলিস। ওই রাস্তাটি সংস্কারের কাজ ধীরগতিতে চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে দুর্ঘটনাস্থলের পাশে অনেকটা রাস্তাই ভালো। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ভাঙাচোরা রাস্তায় জোরে বাইক চালালে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু এই দুর্ঘটনা কীভাবে ঘটল তা বোঝা যাচ্ছে না। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকে দাবি করেন, কুসুমগ্রাম-নবদ্বীপ রোডে বেপরোয়াভাবে লরি, ট্রাক চলাচল করে। যার ফলে একের পরে এক পথ দুর্ঘটনা ঘটছে। একশ্রেণীর চালক মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালান। পুলিস মদ্যপ চালকদের চিহ্নিত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এমনকী ওভারলোডিং ধরতেও কোনও অভিযান চালানো হয় না। ওই রাস্তা সংস্কারের কাজ ধীরগতিতে চলছে বলে অনেকের অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত দশ চাকার লরিটিতে প্রায় ২০টন লোহার রড ছিল। ভোরের দিকে চালক তন্দ্রাচ্ছন্নভাবে লরি চালাচ্ছিলেন। কুসুমগ্রাম বাজার ছেড়ে রাইগ্রাম আসার পথে দুর্ঘটনায় কবলে পড়ে লরিটি। মামুদপুরের কাছে ইউটার্নে লরিটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। সেখানে রাস্তার ডান দিকে একটি পানীয় জলের কল ও কালভার্ট ভেঙে বাবলু শেখের ডোবায় উল্টে পড়ে যায়। ওই ডোবায় জল কম থাকলেও প্রচুর পাঁক ছিল। লরির অধিকাংশটাই ওই পাঁকে ডুবে যায়। ভোররাতে বিকট শব্দ শুনে বাবলুবাবু উঠে দেখেন, তাঁর ডোবাতে রডবোঝাই লরিটি উল্টে পড়ে আছে। তিনি প্রতিবেশীদের খবর দেন। লরির কেবিনের পুরোটাই কাদার পাঁকে পুঁতে ছিল। স্থানীয় বাসিন্দা ফরিদ শেখ বলেন, ভোররাতে বাবলু ফোনে বিষয়টি আমাকে জানায়। প্রথমে পাম্প দিয়ে ওই ডোবার জল তোলা হয়। জল কমলে উদ্ধারকাজ শুরু হয়। কিন্তু লরিটি পাঁকে এতটাই ডুবেছিল যে, আমাদের পক্ষে উদ্ধার করা অসম্ভব ছিল। পুলিস ক্রেন নিয়ে এসে উদ্ধারকাজ শুরু করে। লরিতে থাকা লোহার রড পাড়ে তোলা হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর একে একে খালাসি ও চালকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ক্রেনের টানাটানিতে লরির অধিকাংশটাই ভেঙে গিয়েছে। গাড়ির নম্বর প্লেট বা কোন কাগজ পত্র উদ্ধার করা যায়নি। ওই গাড়ির গায়ে লেখা একটি নম্বর থেকে পুলিস যোগযোগ করে জেনেছে, লরিটি ঝাড়খণ্ড থেকে নবদ্বীপে যাচ্ছিল। মন্তেশ্বরের বিধায়ক সৈকত পাঁজা বলেন, সকালে মামুদপুরে দুর্ঘটনা হয়। লোহার রড বোঝাই লরির চালক, খালাসি সহ ডোবার পাকে পুঁতে যায় বলে শুনিছি।