বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
জলঙ্গির কাকমারি, সিংপাড়া সহ বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা সারা বছরই পদ্মার উপরই নির্ভর করে থাকেন। মৎস্যজীবী উৎপল হালদার বলেন, এবার শীতকালজুড়েই অল্প অল্প করে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে এই মাছ উঠছে বলে সেখানকার মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন। মৎস্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, পদ্মায় অসময়েও ইলিশ পাওয়ার জন্য বাংলাদেশের বড় ভূমিকা রয়েছে। কয়েক বছর ধরে প্রজননের সময় তারা মাছ ধরার ক্ষেত্রে অনেক কড়াকড়ি করছে। ওই সময় তারা কাউকে পদ্মায় মাছ ধরতে দেয় না। তার বিনিময়ে মৎস্যজীবীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। বেশ কয়েক বছর ধরে ভালোভাবেই পদ্মায় মাছ সংরক্ষণ হওয়ায় ইলিশের পরিমাণ বেড়েছে। ছোট মাছ ধরার ক্ষেত্রেও সেদেশে কড়াকড়ি রয়েছে। তাছাড়া নিষেধাজ্ঞার সময় এবার মুর্শিদাবাদের মৎস্যজীবীরাও পদ্মার জলে মাছ ধরতে নামতে পারেননি। ওই সময় বিএসএফের সঙ্গে বিজিবির অশান্তির জেরে মাছ ধরা বন্ধ ছিল। মৎস্যজীবীদের দাবি, এসবের কারণেই পদ্মায় ইলিশ বাড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে পদ্মা আগামী দিনে আরও উদার হবে।
জলঙ্গির মৎস্যজীবীরা বলেন, অসময়ে জালে ইলিশ ওঠায় দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে। ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের ইলিশও ৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তার থেকে বড় হলে আরও বেশি দাম পাওয়া যাচ্ছে। তবে এই মরশুমে দেড় কেজির থেকে বেশি ওজনের ইলিশ পাওয়া যায়নি। এক মাস ধরেই বিভিন্ন ধরনের মাছের সঙ্গে ইলিশও জালে উঠে আসছে। তা বাজারে আনার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতার অভাব হচ্ছে না। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও লোকজন এসে মাছ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।