কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
নানুর থানার খুজুটিপাড়া পঞ্চায়েতের শেহালা গ্রামে হনুমানের আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পাশাপাশি শেরপুর গ্রামেও হনুমানের তাণ্ডবে আতঙ্কিত বাসিন্দারা। খাবারের সন্ধানে প্রায়ই জনবসতি এলাকায় দলবেঁধে হনুমান আসতে দেখা যায়। মঙ্গলবার শেহালা গ্রামে দিনভর ব্যাপক উৎপাত করে দাপিয়ে বেড়ায় একটি পুরুষ হনুমান। হনুমানটি গ্রামের দুই ব্যক্তি ওসমান শেখ ও আলম খানকে জখম করে। তাঁদের বোলপুর হাসপাতাল নিয়ে আসা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের ছেড়ে দেন চিকিৎসক। হনুমানের আক্রমণের খবর জানাজানি হতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। বনদপ্তরকে খবর দেওয়া হলেও মঙ্গলবার চেষ্টার পরও হনুমানের খোঁজ পাওয়া যায়নি। বুধবার সকাল থেকে শেহালা গ্রামের মানুষজন হনুমানের খোঁজ চালালেও সফল হননি। এদিন দুপুর নাগাদ শেরপুর গ্রামে বাড়ির ছাদে বসে ভাত খাচ্ছিলেন আনসার শেখ। সেই সময় হনুমানটি তাঁকে আক্রমণ করে গুরুতরভাবে জখম করে। তাঁকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে। দু’দিন ধরে বনদপ্তর চেষ্টা করলেও হনুমানটিকে ধরতে পারেনি। তার ফলে সমগ্র পঞ্চায়েতের মানুষজন আতঙ্কিত অবস্থায় রয়েছেন। প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বেরতে চাইছেন না। অন্যদিকে বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, হনুমানটিকে ধরার জন্য শেহালা, শেরপুর ও আশেপাশের গ্রামগুলিতে ফাঁদ পাতার কাজ চলছে।
বোলপুরের রেঞ্জার কেশব চক্রবর্তী বলেন, মঙ্গলবার হনুমানের আক্রমণ করার খবর পেয়ে শেহালা গ্রামে খোঁজ চালানো হয়েছিল। কিন্তু, হনুমানটিকে ধরা যায়নি। বুধবারও এক ব্যক্তি হনুমানের আক্রমণে জখম হয়েছেন। তাঁর চিকিৎসার সমস্তরকম ব্যয়ভার বহন করবে বনদপ্তর। আমরা শেরপুর সহ পার্শ্ববর্তী গ্রামে ফাঁদ পেতে হনুমানটিকে ধরার চেষ্টা করছি।