কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
তিনি বলেন, আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, যতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন, তৃণমূল কংগ্রেস দলটা আছে, কার কত বুকের পাটা আছে, আমরা দেখব, দরকার হলে এক নদী রক্ত বইয়ে দেব, তাও একজন মানুষকে এনআরসি সিএএ’র জন্য বাইরে যেত দেব না। ভারতীয় জনতা পার্টি মানুষের সঙ্গে প্রতরণা করছে। এরা মানুষকে ভুল বুঝিয়ে চেষ্টা করছে দেশ থেকে যাতে মানুষকে বিতাড়িত করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী একবার বলছেন, এনআরসি’র কথা বলিনি, ঝুট। আর অমিত শাহ বলছেন, এনআরসি করবই। এরা কেমন এতেই বোঝা যায়। মুখ একরকম আর মুখোশ আর এক। হিটলার কনসেনট্রেশন ক্যাম্প করেছিল। আর ভারতীয় জনতা পার্টি অসমে ডিটেনশন ক্যাম্প করেছে। হিটলারের সঙ্গে এদের কোনও পার্থক্য নেই। এনআরসির মধ্যে দিয়ে সর্বধর্মের মানুষকে বার করে দেওয়ার চক্রান্ত এরা করেছে। ভোটের রাজনীতি করার জন্য এরা সিএএ’টাকে সামনে আনল।
এদিন প্রথমে কৃষ্ণনগরে এনআরসি, এনপিআর, সিএএ বিরোধিতায় মিছিল করে তৃণমূল। পরে সভা হয়। বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে একহাত নেন রাজীববাবু। নাম না করে তিনি বলেন, ওই দলে সকলেই আবোলতাবোল বকে। উনিও কম যান না। উনি ভবিষ্যৎবাণী জানেন। কৃষ্ণনগরে বাইরের জেলা থেকে মানুষ এনে মিটিং করেছিল। আমরা শুধু কৃষ্ণনগরের মানুষ দিয়েই এদিন মিছিল করেছি। ওরা বলছে, ২০০টা আসন পাবে বিধানসভায়। ২০০টা তো দূরে থাক নদীয়ার ২০টা হরিসভা জিতে দেখাক, চ্যালেঞ্জ রইল। লোকসভা নির্বাচনের পর সব নির্বাচনে ওই পার্টি ধরাশায়ী হয়েছে, তারপরেও এত বড় বড় কথা বলে।
অন্যদিকে, মহুয়াদেবী বলেন, সামনে কৃষ্ণনগরের ভোট, বাইরের লোক ছাড়াও যে মিছিল হয়েছে, আমরা সফল হয়েছি। একটা জিনিস আমি সবাইকে বলছি, এনপিআর, এনআরসি, সিএএ নিয়ে যদি আমরা রাস্তায় না নামি, তবে কিন্তু ভারতবর্ষে এমন পরিস্থিতি থাকবে না, যেখানে আপনার সন্তানরা মাথা তুলে রাস্তায় হাঁটতে পারবে। এটা কোনও রাজনীতির ইস্যু নয়, কেউ যদি ভাবেন আমি এটার মধ্যে নেই, পরে যখন আপনার গলা কাটা হবে, তখন আপনার সঙ্গে কেউ থাকবে না। নিজের অধিকারের জন্য সবাইকে রাস্তায় নামতে হবে। এনপিআরে প্রশ্ন থাকছে, আপনার বাবার জন্মস্থান কোথায়? গ্রামের একটা বুড়ো মানুষ নিজের জন্মদিন বয়স বলতে পারে না, বাবার জন্মস্থান, জন্ম তারিখ বলবে? আর এই ভিত্তিতে নাগরিক কি না বিচার হবে! এটা হাস্যকর! দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানিতে নাৎসি’রা যা করেছে, এখানে তাই করা হচ্ছে। লোককে চিহ্নিত কর, সমাজকে বিভাজিত কর। এনপিআর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বন্ধ করে দিয়েছেন। আমাদের রাজ্যে আর এনপিআর হচ্ছে না। এনআরসিও এই রাজ্যে হবে না। নাগরিকত্ব আইন নিয়ে আমি সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছি। আজকে শুনানি হয়েছে। কেন্দ্রের সরকারকে চার সপ্তাহের সময় দেওয়া হয়েছে উত্তর দেওয়ার। আমরা আশা রাখছি, এই অসাংবিধানিক বিষয়কে সুপ্রিম কোর্ট মান্যতা দেবে না। আগামী দিনে কৃষ্ণনগরে ভোট রয়েছে, শহরের মানুষকে আমরা বলছি, এই ইস্যু নিয়ে আপনারা পথে নামুন, আপনাদের নিজেদের জন্যই। এদিনের মিছিল-সভায় ছিলেন মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস, সভাধিপতি রিক্তা কুণ্ডু, কৃষ্ণনগর পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান অসীম সাহা, বিধায়ক গৌরীশঙ্কর দত্ত, পুণ্ডরীকাক্ষ সাহা, কল্লোল খাঁ ’র মতো জেলার প্রবীণ নবীন প্রায় সব বিধায়ক ও নেতারা।