বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ঝাড়গ্রামের পুলিস সুপার অমিতকুমার ভরত রাঠোর বলেন, তারাপদ টুডু কোনও তথ্য যাচাই ছাড়াই অন্য লোককে বন্দুক ফেরত দিয়েছিল। যাঁর বন্দুক পাওয়া উচিত ছিল, তিনি পাননি। সেজন্য তার বিরুদ্ধে কেস করা হয়েছে। এই ঘটনায় সঙ্গে যুক্ত একজন এনভিএফ, দু’জন ব্যক্তি সহ মোট চারজন গ্রেপ্তার হয়েছে। বাইরের এই দু’জন ব্যক্তি ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিল। পুলিস সুপার বলেন, ঘটনার পিছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে। এজন্যই কেস করা হয়েছে। টাকা-পয়সার ব্যাপার রয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৮টি বন্দুক পাচারের বিষয়টি লালগড় থানা জানতে পারে গত ১৬ জানুয়ারি। ওই দিন অভিযুক্ত এএসআই জামবনী থানায় যোগদান করে। আর ওই দিন সাব-ইন্সপেক্টর বিশ্বজিৎ পাঁজা লালগড় থানার মালখানার দায়িত্ব নেন। দায়িত্ব বদলের সময়ই ১৮টি বন্দুকের গরমিল ধরা পড়ে। তারপরই ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিস বিশেষ টিম গঠন করে তদন্ত শুরু করে। তদন্তে তারাপদ টুডুর সঙ্গে বন্দুক পাচারের ঘটনায় লক্ষ্মীরাম রাণার যোগ পায় পুলিস। গত ২১ জানুয়ারি লালগড় থানার আইসি অরিন্দম ভট্টাচার্য মামলা দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, লালগড় থানার মালখানা থেকে ১৮টি বন্দুক পাচার হয়ে গিয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে, ২০১৮ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের জুনের মধ্যে অধিকাংশ বন্দুক পাচার করে দেওয়া হয়েছে। আর ওই সময় লালগড় থানার মালখানার দায়িত্বে ছিল তারাপদ। মঙ্গলবারই তারাপদ টুডুকে ঝাড়গ্রাম শহর থেকে, লক্ষ্মীরামকে লালগড় থানা থেকে ও বাকি দু’জনকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। পুলিস ধৃতদের বিরুদ্ধে ৪০৯ ও ১২০বি ধারায় মামলা রুজু করেছে। আদালত সূত্রে খবর, আদালতের কাছে লালগড় থানার আইসি অরিন্দম ভট্টাচার্য যে অভিযোগ জানিয়েছেন, তাতে বলা হয়েছে, সাব-ইন্সপেক্টর তারাপদ টুডু মালখানার দায়িত্বে থাকার সময়ে এনভিএফ লক্ষ্মীরামের সহায়তা নিয়ে ও অন্যান্য লোকের যোগসাজশে ১৮টি বন্দুক পাচার হয়েছে। পুলিস সুপার বলেন, ওই বন্দুকগুলি বেআইনি বন্দুক নয়। এর মধ্যে অনেকের বন্দুক রয়েছে, যাঁরা মারা গিয়েছেন। আবার অনেক বন্দুক রয়েছে, যেগুলি জমা দিয়ে আর নিয়ে যায়নি। তিনি বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। প্রথম ধাপেই কেস করে তাড়াতাড়ি বাইরের দু’জনকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কোথায়, কাকে বন্দুক দেওয়া হয়েছে, সে-নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।