পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
অন্যদিকে, আসানসোলে ই-রিকশ চালানো নিয়ে আবেদন জমা পড়লেও একবারেই সাড়া নেই দুর্গাপুরে। ৭৫৯টি টিন প্রাপ্ত টোটো থাকলেও ই-রিকশর জন্য মাত্র একটি আবেদন জমা পড়েছে। তাই যেখানে অন্যান্য জেলা টোটো ভেঙে ই-রিকশ বাধ্যতামূলক করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, সেখানে আধুনিক শহর দুর্গাপুরে কখন এনিয়ে তৎপরতা দেখা যায় সেই দিকেই সবার নজর রয়েছে। অন্যদিকে, আসানসোলে পুলিসি ধরপাকড়ে আটকে রাখা ১০০টি টোটোকে মুচলেকা দিয়ে এবং আর্থিক জরিমানা দিয়ে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা পরিবহণ দপ্তর। তবে চালকদের কাছ থেকে লিখিত নেওয়া হচ্ছে, এই গাড়িকে রাস্তায় নামানো যাবে না।
অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রশান্ত মণ্ডল বলেন, মহিলারা ই-রিকশ চালিয়ে স্বাবলম্বী হোক, এতো সমাজের পক্ষে ভালো।
উল্লেখ্য, টোটো, ই-রিকশ টানাপোড়েন এখনও অব্যাহত পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। সরকারি নিয়মে, পুরসভা বা পঞ্চায়েত থেকে টেম্পুরারি আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (টিন) পাওয়া টোটোগুলি ই-রিকশর জন্য আবেদন করতে পারবে। তারা ড্রাইভিং লাইসেন্স, সরকারের দেওয়া নির্দিষ্ট রুট, ইন্স্যুরেন্সের সুবিধা সবই পাবে। আর এতেই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে আসানসোলের ক্ষেত্রে। আসানসোল কর্পোরেশনের অধীনে থাকা আসানসোল, জামুড়িয়া, রানিগঞ্জ, কুলটিতে মোট ৮৭১জন টোটো চালককে টিন দেওয়া হয়েছিল। তাদের মধ্যে ৫১১ জন ই-রিকশ পরিবর্তন করার জন্য ফর্ম তুলেছিল। আর আবেদন জমা পড়েছে ৩৪২টি। সেখানে দেখা যাচ্ছে, মহিলারাই আবেদন বেশি জমা দিয়েছেন। আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক পুলক রঞ্জন মুন্সি বলেন, প্রায় এক তৃতীয়াংশ আবেদনকারীই মহিলা।
আর তারপর থেকেই শুরু হয়েছে জল্পনা। তবে কী এবার আসানসোলের রাস্তায় সর্বত্র দেখা মিলবে, মহিলা ই-রিকশ চালকদের। কিছু ক্ষেত্রে সম্ভাবনা থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেই সম্ভাবনা কম বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ হিসেবে উঠে আসছে দু’টি বিষয়। প্রথমত, যখন টোটো কেনা হয়েছিল তখন অনেক সময় মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী থেকে লোনের সুবিধা পাওয়ার জন্য নিজের স্ত্রীদের নামে টোটো কিনেছিলেন স্বামীরা। যেহেতু টোটোয় স্ত্রীর নাম রয়েছে, তাই ই-রিকশর আবেদনও তাঁর নামেই করতে হয়েছে। অনেকক্ষেত্রে, আবার ই-রিকশ কেনার জন্য যাতে সহজে লোন পাওয়া যায়, সেই আশাতেই স্ত্রীর নামে আবেদন করিয়েছেন। কিন্তু, এক্ষেত্রে জটিলতাও সৃষ্টি হতে পারে। কারণ, যাঁদের নামে ই-রিকশর অনুমোদন দেওয়া হবে, তাঁদের নামেই ড্রাইভিং লাইসেন্সও ইস্যু করা হবে।
এদিকে, আসানসোলে ই-রিকশ চালানোর জন্য আবেদন জমা পড়লেও খুবই খারাপ অবস্থা দুর্গাপুরে। দুর্গাপুর পুরসভা মোট ৭৫৯টি টোটোকে টিন দিয়েছিল। সেই মতো টোটোগুলিকে ই-রিকশয় পরিবর্তিত করা এবং নির্দিষ্ট রুটও চূড়ান্ত করে পরিবহণ দপ্তর। কিন্তু, সেই রুট পছন্দ হয়নি টোটো চালকদের। তাই মাত্র একজন ই-রিকশ নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। যদিও দুর্গাপুরের এআরটিও মানস হালদার বলেন, মাত্র একজন ই-রিকশর জন্য আবেদন করেছেন। বাসের রুটে চালকরা টোটো চালাতে চাইছেন। কিন্তু, আমরা সেই অনুমতি দিতে পারি না। এমাস পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে, না হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।