কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
প্রসঙ্গত, নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসির প্রতিবাদে ওই ব্লক এলাকায় প্রতিদিন মিটিং-মিছিল, পথসভা করছে তৃণমূল। এলাকার সাতটি পঞ্চায়েতে বড় আকারে জনসভাও করা হয়েছে। এরপর মঙ্গলবার থেকে যুব তৃণমূল নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বাড়ি বাড়ি প্রচার শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে ভরতপুর-২ ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি মুস্তাক আলি বলেন, দলের যুব কর্মীরা প্রচার শুরু করেছেন। আমাদের লক্ষ্য এলাকার প্রতিটি পরিবারকে এই আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনমুখী করে তোলা।
এদিকে মঙ্গলবার বিকেলে তালিবপুরে প্রতিবাদ সভা করা হয়। সেখানে হাজির ছিলেন ভরতপুর-২ ব্লক সভাপতি মহম্মদ আজাহারউদ্দিন সিজার, ভরতপুর-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি নুর আলম প্রমুখ। ওই সভায় এলাকার কয়েক হাজার মহিলা হাজির ছিলেন। বক্তারা জানান, এলাকার প্রায় ৬০টি গ্রাম থেকে এদিন মহিলারা তাঁদের স্বামীদের সঙ্গে করে সভায় যোগ দিয়েছিলেন। ওই আইন সম্পর্কে মহিলাদের বিস্তারিত বোঝানো হয়। এরপর প্রতিবাদে কী করতে হবে তা বিস্তারিতভাবে বোঝানো হয়। সিজার সাহেব বলেন, শুক্রবার থেকে এলাকার মহিলারা এনআরসি ও নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে এলাকার মানুষকে সংগঠিত করার কাজ করবেন। মহিলারা প্রতিটি বাড়ি পৌঁছে ওই আইনের সর্বনাশা দিকগুলি বুঝিয়ে বলবেন। প্রতিটি গ্রামে মহিলারা বিকেলের দিকে বাড়ি বাড়ি ঘুরবেন। আগামী একমাস ধরে এই কর্মসূচি চলবে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এলাকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা এই কাজ করবেন।
ওই ব্লক এলাকায় প্রায় সাড়ে ছ’হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। গোষ্ঠীগুলিতে কোথাও ১১-১৫ জন পর্যন্ত সদস্য রয়েছেন। তৃণমূলের ওই কর্মসূচিতে প্রায় চার হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠী অংশ নেবে বলে জানা গিয়েছে। এ ব্যাপারে তালিবপুরের একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যা মমতাজ বেগম বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী আইনের প্রতিবাদে আমরাও শামিল হচ্ছি। উঁজুনিয়া গ্রামের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যা শুকরানা বিবি বলেন, দলের নেতাদের নির্দেশে আমরা শুক্রবার ওই কর্মসূচিতে নামছি।