কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে খবর, এই এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এর আগেও একাধিকবার প্রকাশ্যে এসেছে। সেই কারণে লোকসভা নির্বাচনে শাসক দলের দ্বন্দ্বকে হাতিয়ার করে অস্বাভাবিক উত্থান হয় বিজেপির। জানা গিয়েছে, এই গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ১৪ টি গ্রাম সংসদ রয়েছে। পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, বেশ কয়েক মাস আগে এলাকার ঢালাই রাস্তা, আলোক স্তম্ভ বাতি, বৃক্ষরোপণ সহ বেশ কিছু প্রকল্প মিলিয়ে মোট ৫৯ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। অভিযোগ, ওই টাকা বরাদ্দ পাওয়ার পর পঞ্চায়েত প্রধান সদস্যদের সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে নিজের পছন্দের ঠিকাদারদের দিয়ে ওই কাজ করানোর জন্য টেন্ডার অনুমোদন করেন।
এ ব্যাপারে গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সাংগঠনিক কার্যকরী সভাপতি আপাল মাইতি বলেন, আমি এর আগেও পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে এসে টেন্ডারের বিষয়ে জানতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তখন আমাকে বলা হয় আগামী সপ্তাহে টেন্ডার ডাকার কাজ হবে। কিন্তু এরই মধ্যে ব্লক অফিস সূত্রে আমি জানতে পারি ওই টেন্ডারের কাজ গত বৃহস্পতিবার সম্পন্ন হয়েছে। এরপর পঞ্চায়েত প্রধানকে প্রশ্ন করলে, তিনি আমাকে কাজ দেবেন বলে আশ্বস্ত করেছিলেন। কিন্তু ওই টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূতভাবে করা হয়েছে। এমনকী পঞ্চায়েতের অধিকাংশ সদস্যই ওই টেন্ডারের বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই জানেন না। এদিনও পঞ্চায়েতে নোটিস বোর্ডে টেন্ডার সম্পর্কিত কোনও বিজ্ঞপ্তি চোখে পড়েনি। ফলে এদিন দুপুরে আমি পঞ্চায়েতে গিয়ে টেন্ডারের অনিয়মের প্রতিবাদ জানিয়েছি।
পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলের শিউলি দাস বলেন, আমি মুখ্যমন্ত্রী তথা আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শ নিয়ে চলতে চাই। নেত্রী আমাদের সব সময় চাই সাধারণ মানুষের কাছে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি বজায় রাখার নির্দেশ দেন। কিন্তু এধরনের ঘটনায় মানুষের কাছে খারাপ বার্তা যাচ্ছে। আমি চাই প্রত্যেক সদস্যকে জানিয়ে নিয়ম মেনে তবেই ওই টেন্ডার প্রক্রিয়া করা হোক।
যদিও অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে পঞ্চায়েত প্রধান গৌতম হাজরা বলেন, এই পঞ্চায়েতে টেন্ডার প্রক্রিয়া নিয়ম মেনে করা হয়েছে। কেউ চাইলে অবশ্যই এসে নথিপত্র যাচাই করে দেখতে পারেন। তবে, যে পরিমাণ কাজ হওয়ার কথা রয়েছে তারচেয়ে বেশি ঠিকাদার রয়েছে এখানে। সেই কারণে ওই কাজের বরাত নিয়ে একশ্রেণীর মানুষ অশান্তি তৈরি করতে চাইছে।