পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিকে অনাময় হাসপাতাল থেকে চুরি গিয়েছিল বলে পুলিস ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার নাম রেখেছে অনাময়ী। তার বাবা মাও হাসিমুখে এই নাম মেনে নিয়ে সবাইকে মিষ্টি খাইয়েছেন।
পুলিস জানিয়েছে, ধৃত মধুমিতা রায় বিয়ের পর পদবী রায় বন্দ্যোপাধ্যায় লিখত। বছরখানেক আগে সে কেতুগ্রামের মণি বৈরাগীকে বিয়ে করেছে। বর্তমানে সে আসল নামের পরিবর্তে পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায় বৈরাগী লিখত। বাপেরবাড়ি ও প্রথমপক্ষের শ্বশুরবাড়িতে তার মোট তিন লক্ষ টাকা দেনা রয়েছে। সেই টাকার খোঁজ করতে গিয়েই তার সঙ্গে ওই তৃতীয় ব্যক্তির পরিচয় হয়। ওই তৃতীয় ব্যক্তি মধুমিতাকে জানায়, একটি সদ্যোজাত সন্তান চুরি করে এনে দিতে পারলে দেড় লক্ষ টাকা পাওয়া যাবে। শিশু চুরি করার জন্য সে একমাস আগেই ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করেছিল। দুর্গাপুরে বাড়ি ভাড়াও নিয়েছিল। বাড়ির মালিক ও অন্যান্যদের কাছে নিজেকে সে গর্ভবতী বলে পরিচয় দিয়েছিল। কেউ যাতে সন্দেহ না করে তার জন্য তলপেটে কাপড়ের পুঁটলি বেঁধে রাখত। শাড়ি দিয়ে তা ঢেকে রাখত।
এমনকী, শিশু চুরি করার জন্য গত শনিবার সে অসুস্থ সেজে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। রবিবার তাকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছুটি দিয়ে দেয়। ওই ডিসচার্জ সার্টিফিকেট সে নিজের কাছে যত্ন করে রেখে দিয়েছিল। ওইদিন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ থেকে অনাময় হাসপাতালে গিয়ে সে ওই শিশুকে চুরি করে। এরপর আলিশা থেকে থেকে বাস ধরে রায়না হাসপাতালের সামনে যায়। সেখানেই তৃতীয় ব্যক্তির হাতে ওই শিশুকে তুলে দেওয়ার কথা ছিল। হাতে হাতে দেড় লক্ষ টাকা পাওয়ার কথা ছিল। এদিকে, বর্ধমান থেকে রায়নায় যাওয়ার সময় চার্জ শেষ হয়ে গিয়ে মধুমিতার মোবাইল বন্ধ হয়ে যায়। তবে, তার কাছে একটি ডায়েরি ছিল। সেই ডায়েরিতে ওই বক্তির ফোন নম্বর লেখা ছিল। বাসের অন্যান্য যাত্রীদের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে সে তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু, যোগযোগ হয়নি। তাই রায়না থেকে সে আবার টোটোয় করে বর্ধমানে ফিরে আসে। সেখান থেকে দুর্গাপুরে চলে যায়। পরদিনই পুলিসের হাতে সে ধরা পড়ে।
পূর্ব বর্ধমানের পুলিস সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, দেড় লক্ষ টাকা পাওয়ার জন্য মধুমিতা শিশুটি চুরি করেছিল বলে সে জানিয়েছে। তৃতীয় ব্যক্তির খোঁজ চলছে। ওই তৃতীয় ব্যক্তি আবার যার কাছে শিশুটিকে বিক্রি করত, তারও খোঁজ করা হচ্ছে। তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মধুমিতা ও মণিকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়া হবে।