বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, রাজ্যে লোকসভা ভোটে বিজেপির উত্থানের জেরে প্রশান্ত কিশোর টিমের উদ্ভব দেখা যায়। তৃণমূল নেতৃত্ব দিদিকে বলো কর্মসূচি শুরু করে। সেই কর্মসূচি কীভাবে করতে হবে তার পূর্ণাঙ্গ নির্দেশ পিকে টিমের তরফেই দেওয়া হয় বলে দাবি তৃণমূল নেতাদের। বিধায়ক, মন্ত্রী প্রত্যেকেই জেলায় দিদিকে বলো কর্মসূচিতে যোগ দেন। জেলার শহরগুলিতে দলের নেতারাও বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে এই কর্মসূচি করছেন। সেই কর্মসূচি করতে ফেসবুকে লাইভ করার পাশাপাশি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের সঙ্গেও কথা বলতে হচ্ছে নেতাদের। এরকমই একাধিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে সাঁইথিয়া ও রামপুরহাট পুরসভার খসড়া তালিকা প্রকাশ হয়েছে। সিউড়ি ও বোলপুর পুরসভায় ওয়ার্ড বিন্যাসের পাশাপাশি আসন সংরক্ষণের তালিকা এখনও প্রকাশ হয়নি। তাই পুরভোট নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব এখনও সেভাবে প্রস্তুতি শুরু না করলেও পিকের টিমের তরফে তা একপ্রকার করে দেওয়া হয়েছে।
জেলার পুরসভাগুলির বুথস্তরের কর্মীদের কাছে এব্যাপারে ফোনও যাচ্ছে। তাঁদের নানারকম প্রশ্নও করা হচ্ছে। নেতাদের পাশাপাশি ওয়ার্ডের সাধারণ কর্মীদের কাছেও সেই ফোন যাচ্ছে। সাম্প্রতিককালে সিউড়ি, সাঁইথিয়া পুরসভায় এমনই কয়েকজনের কাছে গত রবি ও সোমবার ফোন এসেছে বলে জানা গিয়েছে। কেউ আবার মঙ্গলবারও ফোন পেয়েছেন।
সিউড়ি পুরসভার ১৩নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি সঞ্জিত দে-কে পিকের টিমের তরফে সোমবার দুপুরে ফোন করা হয়। তিনি কতদিন ধরে দল করছেন সেই প্রশ্নও করা হয় বলে দাবি। তাঁর দাবি, পিকের টিমের তরফে এক মহিলা ফোন করে ওয়ার্ডের ভোটার সংখ্যা জানতে যান। আদিবাসী, ওবিসি, মুসলিম ভোটার সংখ্যাও জানতে চান। প্রশ্ন অনুযায়ী ভোটারদের পরিসংখ্যান দিতে পেরে আমারও ভালো লাগছে।
সাঁইথিয়ার ৮নম্বর ওয়ার্ডের ১০৪নম্বর বুথের এক কর্মী গৌতম দে-কেও কয়েকদিন আগে ফোন করা হয়। তিনি বলেন, পিকের টিমের তরফে এক মহিলা ফোন করে ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা জানতে চান। কোন জাতির ভোটারের সংখ্যা বেশি সেটাও জানতে চান। নাগরিক পরিষেবা নিয়ে জানতে চাইলে বলেছি প্রায় সব ধরনের কাজই এই ওয়ার্ডে হয়েছে।
সিউড়ি শহর তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি মহম্মদ আব্দুল সফির কাছে আবার মঙ্গলবার সকাল ৯টা নাগাদ একটি ফোন কলকাতা থেকে এসেছিল। তাঁকে ফোন করে পিকের টিমের পরিচয় দেওয়া হয়নি। তবে পিকের টিমের থেকেই ফোন এসেছে বলে সফি সাহেবের অনুমান। ফোন করে বিধায়কের কাজকর্ম নিয়ে জানতে চান। নাগরিক পরিষেবা সম্বন্ধে জানতে চাওয়া হয়। সেক্ষেত্রে কী কী প্রয়োজন রয়েছে তাও জানতে চাওয়া হয়। তাঁর দাবি, সিউড়ি শহরের অসুবিধা নিয়ে জানতে চাইলে বলেছি সদর হাসপাতালে ডাক্তারের অভাব রয়েছে। এছাড়া সিউড়ি শহরের বিভিন্ন রাস্তায় জবরদখল নিয়েও বলেছি। শহরে পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে বলেও জানিয়েছি।
দলের অনেকেই মনে করছেন, আসন সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশ হতে বিভিন্ন পুরসভাতেই হেভিওয়েটরা সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে দাঁড়াতে পারবেন না। ফলে, কোন ওয়ার্ডে কোনও জাতির ভোটার বেশি রয়েছে সেই সংক্রান্ত তথ্য জানতে চাইছে পিকের টিম। সেই তথ্য জেনেই ওয়ার্ডের আবহাওয়া কীরকম হতে পারে তা নিয়ে ঘুঁটি সাজাতে পারে দল।