কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
এদিন মন্ত্রী বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ান। তিনি বলেন, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী সবসময় মানুষের জন্য ভাবেন। কিন্তু দেশের প্রধানমন্ত্রী কখনও মানুষের জন্য ভাবেন না। তিনি সবসময় নিজের গদির জন্য ভাবেন। কেন্দ্রীয় সরকার এনআরসি, সিএএ চালু করতে চাইছে। সেটা হলে, এই দেশ থেকে ২২কোটি হিন্দু পরিবার বাদ পড়বে, বহু কোটি মানুষ সমস্যায় পড়বেন। আসলে যে সরকার মানুষকে ভালোবাসতে জানে না, যে দেশের প্রধানমন্ত্রী মানুষকে ভালোবাসতে জানেন না, তিনি বা তারা ভালোবাসার মর্ম বুঝবেন না। অথচ পৃথিবীর প্রতিটি ধর্মগ্রন্থে মানুষকে ভালোবাসার কথা বলা হয়েছে। দেশের প্রধানমন্ত্রীর কথায়, বিজেপির কথায় কেউ কান দেবেন না। আপনারা সবসময় মুখ্যমন্ত্রীর পাশে থাকবেন। নাগরিকত্ব আইন রুখতে সকলে মিলে আন্দোলন গড়ে তুলুন।
পরে মন্ত্রী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, দেশের ব্যাপক অংশের মানুষ, বিশিষ্টরা এনআরসির বিরোধিতা করে চলেছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, দেশে এনআরসি হলে কী ভয়াবহ অবস্থা দাঁড়াবে। অথচ কেন্দ্রের সরকার শুধু তাদের গদি বাঁচাতে মানুষকে আতঙ্কিত রেখে রাজনীতি করে যাচ্ছে। এছাড়াও এদিন মন্ত্রী বলেন, এই জেলায় দক্ষ রাজমিস্ত্রি পাওয়া যায়। তাঁরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় কাজ করতে গিয়ে সমস্যা ও বাধার মুখে পড়ছেন, অত্যাচারিত হচ্ছেন। তাই আমাদের রাজ্য সরকার সবসময় তাঁদের পাশে দাঁড়াচ্ছে। কাশ্মীরে আপেল বাগানে কাজে গিয়ে এই জেলার পাঁচ শ্রমিক প্রাণ হারালেন। সেই পরিবারগুলির পাশে কেন্দ্রীয় সরকার নয়, পাশে দাঁড়িয়েছে আমাদের রাজ্য সরকার। প্রতিটি পরিবারকে চাকরি ও আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিয়েছে রাজ্য সরকার। মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। ওদের সমর্থন করছেন না।
তিনি আরও বলেন, মেলার উদ্দেশ্য রাজ্য সরকার শ্রমিকদের জন্য কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে সেসম্পর্কে সচেতন করা। কান্দি মহকুমা এলাকায় ২ লক্ষ ৪০হাজার শ্রমিক রয়েছেন। তার মধ্যে প্রায় ৬৮হাজার শ্রমিক নথিভুক্ত হয়েছেন। আমরা চাই এই এলাকা থেকে আরও শ্রমিকের নাম নথিভুক্ত হোক। মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী কান্দির জন্য অনেক কাজ করেছেন। আমাদের দপ্তর থেকেও এই এলাকার অনেক উন্নয়ন করতে চাই।