কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
জেলাশাসক বলেন, চলতি বছরে দেরিতে বৃষ্টি হওয়ায় ধান রোপণ ও তুলতে চাষিদের কিছুটা দেরি হয়েছে। তাই নভেম্বর মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে ধান কেনার প্রক্রিয়া শুরু হলেও সেভাবে ধান পাওয়া যায়নি। তারপর স্থানীয় উৎসবগুলির কারণে ধান কেনার গতি কিছুটা মন্থর ছিল। এবার সেই কাজে যাতে গতি আসে, সেজন্যই এদিন সংশ্লিষ্ট সমস্ত দপ্তরের আধিকারিক ও সংস্থাগুলিকে নিয়ে বৈঠক করেছি। ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই আমরা লক্ষ্যমাত্রার ৭০ শতাংশ ধান কেনার উদ্যোগ নিচ্ছি।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরে বাঁকুড়া জেলায় অনাবৃষ্টির কারণে ৩ লক্ষ ৮০ হাজার হেক্টর জমিতে ধান লাগানোর পরিকল্পনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত ২লক্ষ ৭০হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। তবে এবার বৃষ্টি শেষদিকে অনেকদিন পর্যন্ত হওয়ায় সেচ কবলিত নয়, এমন এলাকাগুলিতেও ধানের ফলন ভালো হয়। ফলে জেলায় প্রায় ১০লক্ষ মেট্রিকটন ধানের ফলন হয়েছে। যার মধ্যে জেলায় ৩লক্ষ মেট্রিক টন ধান সরকারিভাবে কেনার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। গত বছর জেলায় ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি প্রশাসন। তাই এবার লক্ষ্যমাত্রা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পূরণের জন্যই এদিন জেলা প্রশাসন বিভিন্ন এজেন্সি, সমবায়, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রতিনিধি ও মিলমালিক এবং খাদ্য ও কৃষিদপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে মাইনরিটি ভবনে প্রস্তুতি বৈঠক করে। বৈঠকে পেশ করা রিপোর্টে দেখা যায়, ধান কেনার কাজ শুরুর পর প্রায় ৮০দিন কেটে গেলেও জেলায় এখনও পর্যন্ত সাকুল্যে মাত্র ৪০ হাজার টন ধান কেনা হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ১৪ শতাংশের কাছাকাছি।
জেলাজুড়ে ১৯টি স্থায়ী কেন্দ্রীয় ধান্য ক্রয়কেন্দ্র রয়েছে। সোমবার পর্যন্ত জেলাজুড়ে ২৭৮টি শিবির হয়েছে। তাতে মোট ১৭ হাজার ২৪৯ জন চাষি তাঁদের ধান দেবেন বলে এখনও পর্যন্ত নাম নথিভুক্ত করেছেন। তার মধ্যে ১৩হাজার ১০জন চাষি তাঁদের ধান সরকারি ক্যাম্প বা স্থায়ী ধান ক্রয় কেন্দ্রে বিক্রি করেছেন। ধান কেনার গতি কেন বাড়ানো যাচ্ছে না, তা জানতেই এদিন জেলাশাসকের নেতৃত্বে বৈঠকের আয়োজন করা হয়। তাতে দেখা যায় ছাতনা, শালতোড়া, গঙ্গাজলঘাটি ও বড়জোড়া ব্লকে ধান কেনার গতি খুবই শ্লথ। তাই ওই ব্লকগুলির উপর বিশেষ নজর দেওয়ার জন্য মহকুমা শাসক ও বিডিওদের নির্দেশ দেন জেলাশাসক। এছাড়াও ইন্দাস ব্লকে রাইস মিল মালিকদের অসযোগিতার অভিযোগ ওঠে। তা খতিয়ে দেখে জেলাশাসক খাদ্য নিয়ামককে তিনদিনের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেন।
এ ব্যাপারে কৃষকসভার জেলা সম্পাদক যদুনাথ রায় বলেন, সরকারি শিবিরে ধান বিক্রি করতে গিয়ে নানা ঝামেলা পোহাতে হয় চাষিদের। নাম নথিভুক্ত করার জন্য তথ্য প্রমাণ লাগে, মোট ধানের একটা বড় অংশই বাদ দেওয়া হয়। তাই অনেকে যেতেই চান না। প্রশাসন অবশ্য জানাচ্ছে, শিবিরে কেবল ভোটার কার্ড ও ব্যাঙ্কের পাশবই নিয়ে গেলেই ধান বিক্রির সুযোগ পাবেন চাষিরা।