গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, এক সময় কালনার মসলিন বস্ত্র শিল্পীদের তৈরি কাপড় দেশের চলচ্চিত্র থেকে রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও জাতীয় খেলোয়াড়দের কাছেও সুনাম অর্জন করেছে। পুরস্কার এসেছে রাষ্ট্রপতির কাছ থেকেও। মাঝে সরকারি উদাসীনতায় মসলিন শিল্পীরা হারিয়ে যেতে বসেছিলেন। বর্তমান সরকার শিল্পকে চাঙ্গা করতে কালনার কাঁদিপাড়ায় সরকারি উদ্যোগে কালনা উইভার্স অ্যান্ড আর্টিজেন সংস্থা হাত ধরে মসলিন শিল্পীদের নিয়ে ক্লাস্টার তৈরির কাজ শুরু হয়। পুরনো শিল্পী সহ নতুন করে এই পেশায় আশা শিল্পীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ শিল্পী তৈরি করছে সংস্থা। এদিন এলিস ব্লোহন ও ইয়েল রোসেনডিল্ড নামে দুই নিউইয়র্কের বাসিন্দা তথা নিউইয়র্ক মেট্রপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টের সদস্য কালনা কাঁদিপাড়া উইভার্স অ্যান্ড আর্টিজেন সংস্থার মসলিন বস্ত্র তৈরি কারখানায় হাজির হন। এর আগে তাঁরা বিষ্ণুপুর, জয়পুর ও ফুলিয়াতে হস্তশিল্পের বস্ত্র তৈরি দেখে এসেছেন। কালনায় শিল্পীদের হস্তশিল্পের মাধ্যমে সরাসরি তুলো থেকে সুতো ও সুতো থেকে শাড়ি তৈরি দেখে মুগ্ধ হন তাঁরা। এখান থেকে শাড়ি ও স্কার্ফ কেনেন। তাঁরা ভারতের হস্ত শিল্পের বস্ত্র তৈরির বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন বলে জানান। এদিন তাঁরা কালনা রাজ বাড়ি চত্বরের প্রাচীন মন্দিরময় স্থাপত্যও ঘুরে দেখেন।
তপনবাবু বলেন, এদিন তাঁরা বস্ত্র তৈরি দেখে খুবই খুশি হয়েছেন। কিছু কেনাকাটা করেছেন। আমাদের উৎসাহ দিয়েছেন। আমরা আশা করব ওঁদের হাত ধরেই আগামীদিনে বিদেশের মাটিতে বাংলা তথা কালনার মসলিন শিল্পীদের তৈরি বস্ত্র বিদেশে পৌঁছে যাবে। সুনাম অর্জন করবে।