পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিন বিকেলে প্রদীপ জ্বালিয়ে জঙ্গলমহল উৎসবের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী। পরে ধামসা বাজান মন্ত্রী। মঞ্চে পার্থবাবু বলেন, শুধু রাস্তাঘাট করলেই হবে না। শুধু চাকরি, পেটে ভাত দিলেই উন্নয়নটা হবে না। তার সঙ্গে সঙ্গে মগজেও কিছু দিতে হবে। এই লোকশিল্পীদের সৃষ্টিচেতনা নাচ, গান, বাংলার সামগ্রিক ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করছে। তাঁদের সামনে নিয়ে আসতে হবে। সেই উদ্দেশ্যে এই জঙ্গলমহল উৎসব। আপনারাও পরিবর্তন দেখছেন। শুরু করাটাই বড় কথা। কোনও বিষয় থাকলে আপনারাও বলুন। বাংলাকে বিশ্ববাংলা গড়ে তোলার যে কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, তাকে সার্থক রূপ দিতে সবাই এগিয়ে আসুন।
এদিন অনুষ্ঠানমঞ্চে মন্ত্রী বলেন, ঝাড়গ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়াল তোলাই কি কাজ? এটা যাতে তাড়াতাড়ি শুরু হয়, তা জেলাশাসক আপনি দেখুন। দেড় বছর ধরে ঝাড়গ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা শুনছি। কাজের গতি আনতে হবে। শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, আর্থিক সচ্ছলতার অভাব থাকলেও জঙ্গলমহলের মানুষের দিক থেকে মুখ্যমন্ত্রী কোনওদিন মুখ ফিরিয়ে নেননি। আমি ছোটবেলায় ছিলাম এখানে, তারপরও বহুবার এসেছি। তাই আমি এই পরিবর্তনটা খুব ভালোভাবে জানি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কথা দিয়েছেন, সে কথা রেখেছেন। কথা রাখার মধ্যেও কোথাও কোথাও দুর্বলতা রয়েছে। কয়েকটা জায়গায় মুখ্যমন্ত্রীর সেই সুবিধা হয়তো পৌঁছায়নি। সেগুলি সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। মানুষের প্রাপ্য মানুষকেই দিতে হবে। মাঝখানে রাস্তায় যেন তা হারিয়ে না যায়, তা দেখতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সংস্কৃতির মধ্যে দিয়েও অনেকে অনেক কথা বলছেন। এই উৎসবের মধ্য দিয়ে নতুন শিল্পীদের প্রতিভাকে চিহ্নিত করে আলোর মূল বৃত্তে নিয়ে আসতে হবে। তাহলেই তো তাঁদের স্বীকৃতি হবে। এঁদের ঘুম পাড়িয়ে রাখলে কি খুব লাভ হয়? আমরা তাঁদের চেতনাকে, শিক্ষা, ভাবনা এবং বাংলার ভাবনাকে জাগাতে চাই। আর এর সঙ্গে বাংলার ভাবনাকে যোগ করতে চাই। জঙ্গলমহল উৎসবে ১৩০টি সাংস্কৃতিক দল, ১৬০০ লোকশিল্পী যুক্ত হয়েছে। উৎসব শুধু জঙ্গলমহলে নয়, সর্বত্র হয়। এর কারণ হল প্রতিভাকে খুঁজে বের করা।
রাজ্যপাল বলেছেন, কৃষকরা টাকা পাচ্ছেন না। আপনার কী মত? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে পার্থবাবু বলেন, রাজ্যপালের মাথাটা ঠিক করতে বলুন। উনি কি রাজনৈতিক নেতা? দিলীপ ঘোষ বললে তার উত্তর দেওয়া যায়। উনি বললে তার কী উত্তর দেব? উনি তো আমাদের অভিভাবক হয়ে এসেছিলেন।
ষষ্ঠতম জঙ্গলমহল উৎসব আগামী ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। এদিনের অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ছাড়াও ছিলেন ডেপুটি স্পিকার সুকুমার হাঁসদা, পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী শান্তিরাম মাহাত, ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আয়েষা রানি এ, পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক রশ্মি কমল সহ প্রশাসনের আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিরা। এদিন শিল্পীদের হাতে ধামসা ও মাদল তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী।