বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গত ৪ জানুয়ারি রাত ৮টা ১৫ মিনিট নাগাদ বর্ধমান স্টেশনের মূল প্রবেশ পথের এলাকা তিন দফায় পুরো তিনতলা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। তাতে একজনের মৃত্যু হয়েছিল। এবং জখম হয়েছিলেন আরও একজন। ওই দুর্ঘটনার পরই রেলের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছিলেন যাত্রীরা। দুর্ঘটনা দিন রাতেই হাওড়ার ডিআরএম ইশাক খান ঘটনাস্থলে এসে জানিয়েছিলেন, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হচ্ছে। তাঁরা ১০ দিনের মধ্যেই রিপোর্ট দেবেন। কিন্তু, ১৫ দিন কেটে গেলেও কোনও রিপোর্টই জমা পড়েনি। প্রসঙ্গত, দুর্ঘটনার পর ৬ জানুয়ারি বিকেলে ওই তিন সদস্যের কমিটি বর্ধমান স্টেশন পরিদর্শনে এসেছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান শোনার জন্য দু’ঘণ্টা সময় নির্দিষ্ট করেছিল রেল। তার জন্য বিভিন্ন জায়গায় বিজ্ঞপ্তিও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, তদন্ত কমিটির ওই ‘শুনানি’তে একজনও সাধারণ মানুষ হাজির হননি। রেলের প্রত্যক্ষদর্শী কর্মীরাই কেবলমাত্র তাঁদের বয়ান দিয়েছিলেন। অথচ, দুর্ঘটনার সময় কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন। শুধু উপস্থিতই নন, তাঁরা নিজেদের মোবাইলে ভেঙে পড়ার দৃশ্য ক্যামেরাবন্দিও করেছিলেন।
রেলের তরফে জানানো হয়েছিল, প্রাচীন বিল্ডিংয়ের যে অংশ বিপজ্জনক রয়েছে তা ভেঙে ফেলা হবে। তার মধ্যে কোন কোন অংশ রাখা যাবে তা খতিয়ে দেখা হবে। তার জন্য খড়্গপুর আইআইটি’র পরামর্শও নেওয়া হচ্ছে। খতিয়ে দেখে সে ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা সিদ্ধান্ত নেবেন। কিন্তু, তার আগেই গত চার-পাঁচদিন ধরে স্টেশনের সামনের অংশে রং করার কাজ শুরু হয়েছে। শনিবার নাগাদ রং করার কাজ শেষ হয়েছে। দু’দিন ধরে মূল প্রবেশ পথের উপরের অংশে ভাঙার কাজ চলছে। যাত্রীদের অভিযোগ, বিল্ডিং-এর পূর্ণ সংস্কার প্রয়োজন। তা না করে বাইরে থেকে রং করা হল। যদি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে এরপর সংস্কার করা হয়, তাহলে রং করার টাকা অযথা খরচ করা হল। দ্বিতীয়ত, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ না নিয়েই এই প্রাচীন বিল্ডিং সংস্কার করা হচ্ছিল। পুরনো হেরিটেজ বিল্ডিং যেভাবে সংস্কার করা হয় সেই নিয়ম মানা হয়নি বলে অভিযোগ। ভেঙে পড়ার জন্য সেই ঘটনাকেও অনেকে দায়ী করেছেন। যাত্রীদের অভিযোগ, ফের ভাঙার কাজ হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ না নিয়ে ভাঙার কাজ করলে নতুন করে বিপত্তি ঘটতে পারে।