গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
সমবয়সি বহরমপুরের জনা পঞ্চাশ শিক্ষক ও বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত আরও দশজন যুবক কোনও সংগঠনের নাম না দিয়েই সারা বছর বিভিন্ন সমাজসেবা মূলক কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থেকে নজর কেড়েছেন। এবার তাঁদের অভিনব উদ্যোগ ছিল যাঁরা দু’মুঠো খাবারের জন্য অন্যের প্রতি ভরসা করেন, তাঁদের বাছাই করে আমন্ত্রণ জানিয়ে খাওয়ানোর। স্কুল শিক্ষক হাফিজুর রহমান বলেন, একমাস ধরে প্রকৃত দুঃস্থ ও ভবঘুরেদের ঠিকানা সংগ্রহ করে তাঁদের বাড়ি বাড়ি আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছিলাম। ভাবিনি আমাদের আমন্ত্রণে সকলেই সাড়া দেবেন।
এদিনের মেনুর তালিকাও ছিল বেশ দীর্ঘ। সকালের টিফিনে রাখা হয়েছিল গরম লুচির সঙ্গে ছোলার ডাল ও বোঁদে। এরপর দেওয়া হয় কমলালেবু। আর দুপুরের খাওয়ার তালিকায় ছিল ভাত, বেগুনি, স্যালাডের সঙ্গে ডাল, পাঁচ তরকারি, মাছ, মাংস ও চাটনি। শেষ পাতে নলেন গুড়ের রসগোল্লা। চেয়ার টেবিলে ‘রাজকীয়’ খাবার পেয়ে খুশি আমন্ত্রিতরা।
রাধারঘাট এলাকার বাসিন্দা মায়ারাণি দাস বলেন, ছেলেরা দেখে না। লোকের বাড়িতে চেয়েই দিন কাটে। আজ যে সম্মান পেলাম, কোনওদিন ভুলব না। ভাকুড়ির যোগমায়া মণ্ডল বলেন, ছেলেরা আমাকে বাড়িতে গিয়ে বলে এসেছিল। কেউ কোনওদিন বাড়ি বয়ে এসে খাবার নিমন্ত্রণ করবে স্বপ্নেও ভাবিনি। যে ছেলেরা মাকে সম্মান করেন, তাঁদের ভালো ঈশ্বর করবেন। বিকেলে বিদায় বেলায় প্রত্যেক আমন্ত্রিতদের হাতে শীত বস্ত্র তুলে দেওয়া হয়। এদিনের অনুষ্ঠানে উদ্যোক্তাদের সঙ্গে তাঁদের পরিবারের সদস্যরাও হাজির ছিলেন।