পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নামে বিভিন্ন থানায় প্রতারণা, চুরি-ছিনতাই সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক অভিযোগের মামলা রয়েছে। গোঘাট থানার ওসি সমর দে বলেন, ধৃতদের বিরুদ্ধে বেশ কিছুদিন আগে চাকরি দেওয়ার নাম করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতানোর অভিযোগ দায়ের হয়। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে ওইদিন রাতে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই চক্রের সঙ্গে আর কে বা কারা যুক্ত রয়েছে, সেই বিষয়ে তদন্ত চলছে।
উল্লেখ্য, মাস দুয়েক আগে গোঘাট থানার রাধাবল্লভপুর এলাকার যুবক ত্রিদীপ কর্মকারের সঙ্গে এক প্রতিবেশীর মারফত যোগাযোগ হয় নুরউদ্দিন ও রিজাউলের। তারা নিজেদের সিআইডি আধিকারিকের পরিচয় দিয়ে ত্রিদীপের কাছ থেকে মোট ছয় দফায় দেড় লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়।
এব্যাপারে প্রতারণার শিকার হওয়া ত্রিদীপ বলেন, ওরা আমাকে সিআইডির এসআই পদে চাকরি দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সেই হিসেবে কখনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে, কখন আবার নগদ মোট ছয় দফায় দেড় লক্ষ টাকা দিয়েছি। ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে আমাকে ওই চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, সময় পেরিয়ে গেলেও ওরা আমাকে কোনও রকম চাকরির নিয়োগপত্র দেয়নি। আমি এমএসসি পাশ করে বেকার অবস্থায় রয়েছি। বাড়িতে অসুস্থ বৃদ্ধ বাবা-মা রয়েছেন। যে কারণে বাধ্য হয়ে আমি ওই প্রলোভনে পা দিয়েছিলাম। পরে বিষয়টি পরিষ্কার হতেই বুঝতে পারি, আমি প্রতারণার শিকার হয়েছি। যে কারণে পুলিসের দ্বারস্থ হই।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নামে এর আগেও খানাকুল, পুরশুড়া সহ জেলার বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা দায়ের হয়। এরপরই গোঘাট থানায় সিআইডির এসআই পদে চাকরি দেওয়ার জন্য এক বেকার যুবকের কাছ থেকে টাকা হাতানোর অভিযোগ জমা পড়ে। তারপর থেকেই পুলিস অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিল। এরপর শনিবার তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিস।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা বেকার যুবকদের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সরকারি দপ্তরে পদাধিকারীদের নাম ব্যবহার করত। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও তারা সিআইডির পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ভুয়ো প্রফাইল বানিয়েছিল। এমনকী, হাতানো টাকা দিয়ে ধৃতরা চার চাকার গাড়িও কেনে। তদন্তে নেমে পুলিস প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে, এই ঘটনার সঙ্গে একটা বড় চক্র কাজ করছে। তাই তাদের হেফাজতে নিয়ে ওই দলের মূল পাণ্ডা সহ বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস।