গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রীকৃষ্ণবাবুর মেয়ে রানাঘাট কলেজের ইতিহাসে অনার্সের প্রথম বর্ষের ছাত্রী অঙ্কিতা বিশ্বাস গত মঙ্গলবার থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করেও তাঁর কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরিবারের সদস্যদের দাবি, গত মঙ্গলবার সকালে কলেজ যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হয়ে অঙ্কিতা আর ফেরেনি। কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার সময় পার হয়ে গেলেও না আসায় পরিবারের লোকজন অঙ্কিতার মোবাইলে ফোন করেন। কিন্তু, মোবাইলে প্রথমবার শুধু রিং হয়ে যায়। ফোন ধরেননি অঙ্কিতা। তার কিছুক্ষণ পর আবার ফোন করা হয়। কিন্তু, সেই সময় থেকেই মোবাইল সুইচ অফ বলে শোন গিয়েছে। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত অঙ্কিতাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও কোনও হদিস না পেয়ে বুধবার রানাঘাট থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছেন শ্রীকৃষ্ণবাবু।
শ্রীকৃষ্ণবাবুর অভিযোগ, পুলিস আমার মেয়েকে খোঁজার ব্যাপারে তৎপরতা দেখাচ্ছে না। পুলিস যদি তৎপর হতো তবে অবশ্যই মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যেত। যদিও বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে রানাঘাট থানার পুলিস। পুলিসের দাবি, ঘটনার তদন্ত চলছে। ওই ছাত্রীর খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
শ্রীকৃষ্ণবাবু বলেন, মেয়ের বন্ধু-বান্ধবদের কাছ থেকে খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি, নিখোঁজ হওয়ার সপ্তাহ খানেক আগে থেকেই কারও সঙ্গে বিশেষ কথা বলত না অঙ্কিতা। সে চুপচাপ নিজের মতো থাকত। বাড়ি থেকেও কলেজ টিউশনি ছাড়া বিশেষ বের হতো না। মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে সম্ভাব্য সমস্ত জায়গা খোঁজ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু, পাঁচ দিন পার হয়ে গেলেও কোথাও তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। পুলিসের কাছে আমার আবেদন দয়া করে মেয়েকে খুঁজে বের করা হোক।
এদিকে, ঘটনার পর অঙ্কিতার বন্ধুরা কেউ কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর নিখোঁজ হওয়ার বিষয় জানিয়ে পোস্ট করেছেন। সেই পোস্ট অনেকেই শেয়ারও করেছেন। কিন্তু খোঁজ পাওয়া যায়নি অঙ্কিতার। প্রতিবেশীরা বলেন, শান্ত স্বভাবের মেয়েটির হঠাৎ করে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনার কোনও কারণ বোঝা যাচ্ছে না। বন্ধুবান্ধবরাও বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট হতবাক। শ্রীকৃষ্ণবাবু বলেন, অঙ্কিতার বন্ধু-বান্ধবের কাছ থেকে খোঁজ নিয়ে অঙ্কিতার কোনও প্রেম-ভালোবাসার কথা আমরা জানতে পারিনি। তবে কী কারণে হঠাৎ করে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সে আর ফিরল না সেটা কেউ বুঝতে পারছে না। মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার আগে কোনওরকম সন্দেহজনক বিষয়ও নজরে আসেনি। মেয়ের কোনওরকম বিপদ হওয়ার আশঙ্কায় রাতের ঘুম চলে গিয়েছে পরিবারের সকল সদস্যের। কী করব, কোথায় গেলে মেয়েকে খুঁজে পাব বুঝে উঠতে পারছি না। আমরা পরিবারের সকলেই এনিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত।
পুলিস জানিয়েছে, অঙ্কিতার মোবাইল সুইচ অফ হওয়ার লোকেশনের সূত্র ধরে পরিচিতদের সঙ্গে যোগাযোগ করা চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তল্লাশি শুরু করেছেন রানাঘাট থানার তদন্তকারী পুলিস অফিসাররা। পুলিস সূত্রে খবর, অঙ্কিতার বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্টগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন থানায় খবর পাঠিয়ে মেয়েটির খোঁজ শুরু হয়েছে। নিখোঁজ হওয়ার পর এক বান্ধবীর সঙ্গে মোবাইলে অঙ্কিতার একবার কথা হয়েছে বলেও জানতে পেরেছে পুলিস। সমস্ত বিষয়গুলিকে সামনে রেখে পুলিস তদন্ত চালাচ্ছে। পুলিস জানিয়েছে, সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।