রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
উল্লেখ্য, শনিবার সকালে সাঁইথিয়া থেকে একটি সারবোঝাই লরি লোকপাড়ার দিকে যাচ্ছিল। ময়ূরেশ্বর থানার বাসুদেবপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে হঠাৎই লরিটির সামনের চাকা ফেটে গেলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারের একটি চায়ের দোকানে ঢুকে পড়ে। এই ঘটনায় মৃত্যু হয় এক তৃণমূল নেতা সহ তিনজনের। জখম হন আটজন। বর্তমানে তাঁরা সিউড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রবিবারও সাঁইথিয়া-বহরমপুর রাস্তায় কোটাসুর মোড়ে ওভারলোডেড বালির লরির চাকা হঠাৎই ফেটে যায়। রাস্তার পাথর ছিটকে ক্ষতিগ্রস্ত হয় একটি দোকান। এরপরই স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা আন্দোলনে নামেন। তাঁরা ওই রাস্তায় চলাচলকারী ওভারলোডেড বালির লরি ও ডাম্পার আটকে দেন। যদিও অন্যান্য যান চলাচল স্বাভাবিক রাখেন তাঁরা। স্থানীয়দের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে রাস্তায় নামেন বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি দুধকুমার মণ্ডল। এভাবে বালিবোঝাই লরি আটকে দেওয়ায় সাময়িক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
বাসিন্দারা বলেন, কয়েকমাস আগে কোটাসুর মোড়ে ব্যবসায়ী সমিতি এবং এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ স্থানীয় পঞ্চায়েতের কাছে ওভারলোডেড ট্রাক আটকে চালকদের অতিরিক্ত বালি নামাতে বাধ্য করেন। যার ফলে ট্রাকের দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। অন্যান্য যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। টনক নড়ে প্রশাসনের। পরে পুলিসি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। সেই সময় কয়েকদিন ওভারলোডেড যান চলাচল বন্ধ ছিল। কিন্তু, বর্তমানে অবাধে ওভারলোডেড বালির ডাম্পার ও লরি এই রাস্তা দিয়ে মুর্শিদাবাদে চলে যাচ্ছে। যেভাবে লরিগুলির চাকা ফেটে যাচ্ছে তাতে যে কোনও দিন বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তাই ওভারলোডেড যান চলাচল বন্ধ করতে হবে।
দুধকুমারবাবু বলেন, ওভারলোডেড বালির লরি ও ডাম্পার থেকে জল পড়ে রাস্তা নষ্ট হচ্ছে। কাদায় চলাচল করা অসুবিধা হচ্ছে। ছেলে-মেয়েরা স্কুল, কলেজ যেতে ভয় পাচ্ছে। এদিন যেভাবে ওভারলোডেড বালির লরির চাকা ফেটে গিয়েছিল, তাতে বাসুদেবপুরের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারত। তাই আমরা ওভারলোডেড বালির লরি আটকে দিয়েছিলাম। থানার ওসি আমাকে ফোন করেছিলাম। আমি তাঁকে এলাকায় আসার অনুরোধ জানাই। কিন্তু, তিনি আসেননি। তবে, এক এএসআই এসেছিলেন। পরে স্থানীয়রা অতিরিক্ত বালি ফেলে দিয়ে গাড়িগুলিকে ছেড়ে দেন।
এদিকে যে পুলিস এতদিন ওভারলোডেড যান চলাচল বন্ধ করতে নিষ্ক্রিয় ছিল, তারাই এদিন অতিসক্রিয় হয়ে ওঠে। আন্দোলনকারীরা সরে যেতেই পুলিসও ওভারলোডেড লরি, ডাম্পার আটকে কেস দেওয়ার পাশাপাশি অতিরিক্ত বালি নামিয়ে দেয়।
রামপুরহাট মহকুমার এআরটিও দেবাশিস ঘোষ বলেন, জেলাশাসকের নির্দেশে ওভারলোডিংয়ের বিরুদ্ধে সীমিত পরিকাঠামোর মধ্যে যতটা সম্ভব অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। রেভিনিউ আদায়ও বেড়েই চলেছে। তবুও কোন কোন জায়গায় ওভারলোডিং বেশি চলছে, সেটা দেখে নিয়ে অভিযান জোরদার করব।