বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এনআরসি ও সিএএ বিরোধিতায় ব্লকে ব্লকে সভা করছেন অনুব্রত। এদিন খয়রাশোলে সভা করেন তিনি। প্রসঙ্গত, এই ব্লকে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সবচেয়ে বেশি। প্রায়ই খুনখারাপি লেগে থাকায় এই ব্লকের অবজার্ভার করা হয় দলের সহ সভাপতি অরুণ চক্রবর্তীকে। এদিন সেই খয়রাশোলে বড় জনসভা হয়। জনজোয়ার দেখে আপ্লুত অনুব্রত বলেন, এখানকার মানুষ খুব শান্ত, ভালো। এখানকার মানুষকে খুঁচিয়ে অশান্তি করানো হয়। অন্যদিকে অরুণবাবু বলেন, দলের জেলা সভাপতিকে জানিয়েই এখানে সাংগঠনিক কাজ করে চলেছি। তাতে সর্বস্তরের মানুষের সাড়া পাচ্ছি।
এদিনও বক্তব্য রাখতে গিয়ে অনুব্রত স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে এনআরসি ইস্যুতে নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহকে তীব্র আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে এরাজ্যে এনআরসি লাগু করতে চাইলে তীব্র আন্দোলন গড়ে উঠবে। বক্তব্য রাখতে গিয়ে রেশন নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ তোলেন অনুব্রতবাবু। তাঁর দাবি, রেশন নিয়ে তাঁর কাছে বিস্তর অভিযোগ জমা পড়েছে। তিনি বলেন, গরিব মানুষের রেশন নিয়ে ডিলাররা বড়লোক হবে তা মেনে নেব না। জানি এক-দু’দিনের বেশি রেশন দোকান খোলা হয় না, মানব না। মাসে চারদিন রেশন দোকান খুলতে হবে। যদি কেউ এ সপ্তাহে রেশন তুলতে না পারেন, তাঁকে পরের সপ্তাহে একসঙ্গে দু’বারের মাল দিতে হবে। আবার কেউ যদি একসঙ্গে চার সপ্তাহের মাল চান, তাঁকে তা দিতে হবে। কেউ সরকারি নিয়ম না মানলে তাকে ছাড়ব না। তার জন্য জেল আছে। সেই ডিলার যত বড়ই মস্তান হোক না কেন তাকে জেলে ভরে দেব। যদি কোনও অঞ্চল সভাপতি রেশন ডিলারের সঙ্গে আপস করেন, তাঁকেও ছাড়া হবে না। আমাকে না পেলে জেলা পরিষদের মেন্টরকে(অভিজিৎ সিংহ) জানান। তারপর যা করার আমি করব। আর একটা অভিযোগ বিডিও অফিস ও থানায় জমা দিন। তার কপি আমার কাছে পাঠিয়ে দিন। নিশ্চিত থাকুন, তার পরের দিন ওই রেশন দোকান বন্ধ করে দেব। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বর্ধমানে এসে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবার থেকে মাসে একবারই চার সপ্তাহের রেশন মিলবে বলে জানান।