গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এদিন রেয়াপাড়ায় পুলিস আটকে দেওয়ার পর সেখানেই বক্তব্য রাখেন দিলীপ ঘোষ ও সায়ন্তন বসু। দিলীপবাবু বলেন, নন্দীগ্রামের মানুষজন এখন পাল্টে গিয়েছেন। মানুষজন দল বেঁধে আমাদের কর্মসূচিতে নামবেন বলেই পুলিস দিয়ে আমাদের আটকানো হয়েছে। দেশের কোনও রাজ্যে বিজেপিকে পুলিস দিয়ে আটকানো যায়নি। এখানেও যাবে না। তা করা গেলে নরেন্দ্র মোদি দেশের প্রধানমন্ত্রী হতেন না। এখানে যেদিন জমি রক্ষার আন্দোলনে গুলি চলেছিল। মানুষ সরকারের বিরুদ্ধে এককাট্টা হয়েছিলেন। সেদিন আমরাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলাম। তাঁকে নন্দীগ্রামে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। চণ্ডীপুরের মোড়ে বসে কাঁদছিলেন তিনি। সেদিন ঢোকার হিম্মত ছিল না। রাজনাথ সিং, সুষমা স্বরাজ এবং আদবানীজি এসে নন্দীগ্রামে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেই দিনটার কথা ভুলে গেলেন? আপনারা ভুলে গেলেও আমরা ভুলে যাইনি। নন্দীগ্রামের আন্দোলনে বিশ্বজিৎ মাইতি সহ আমাদের তিন-চারজন কর্মী মারা গিয়েছিলেন। আমরা ক্ষমতার জন্য লড়াই করিনি। নন্দীগ্রামের মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য লড়াই করেছিলাম। সেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করে আমরা ভুল করেছিলাম। আমরা ভেবেছিলাম, স্বৈরাচারী শাসন শেষ হবে এবং গণতন্ত্র আসবে। এখানকার মানুষ তাঁর অধিকার পাবেন। আজ প্রমাণ হয়ে গিয়েছে, তিনি তার যোগ্য ছিলেন না।
দিলীপবাবু বলেন, আজকে সিপিএম কোথায়? বিমানবাবু, সূর্যবাবুদের বক্তব্য শুনতে এখন আর মানুষ আসে না। সিপিএমের বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়েরা ঠিক করে জামা কাপড় পরতে পারে না, তারা ‘আজাদি’ ‘আজাদি’ বলে রাস্তায় চেঁচায়। একটা বাচ্চা মেয়ে মাথায় স্টিকার লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাকে মারা হয়েছে বলে ড্রামা করছে। মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়ে স্লোগান দিচ্ছে ১৬টা সেলাই নাকি পড়েছে। দু’দিন পর দেখা যায়, ছোট্ট একটা ব্যান্ডেজ আছে কিন্তু, কোনও সেলাই নেই। এই নাটক অনেক দেখেছি। এবার লোকসভা ভোটে তার জবাব দিয়েছেন মানুষ। একেবারে ঝেঁটিয়ে বিদায় করেছে।
দিলীপবাবু আরও বলেন, লোকসভা ভোটে আমরা ২কোটি ৩০লক্ষ মানুষের সমর্থন পেয়েছি। সম্প্রতি তিনটি বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল জিতেছে। তারমধ্যে একটা তৃণমূলের, একটা কংগ্রেসের আর একটা আমাদের ছিল। তিনটি সিট জিতে তৃণমূল বিজয় উৎসব করছে। গোটা বাংলাজুড়ে হোর্ডিং লাগিয়েছে মানুষজনকে ধন্যবাদ জানানোর জন্য। ওদের আত্মবিশ্বাস কোথায় গিয়েছে? খড়্গপুরে আমি নাকি বন্দুক নিয়ে বেরিয়েছিলাম। তৃণমূল কেস দিয়েছে। আমার হাতে বন্দুক কি লাঠি দেখার মতো দম নেই। ওরা এত ভয় পায় যে, আমি লাঠি হাতে নিলে ওরা বলে, তলোয়ার। আর তলোয়ার নিলে বলে, বন্দুক। যদি কোনওদিন বন্দুক ধরি, তাহলে ঝাঁঝেই মরে যাবে। মারতে হবে না।
রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু এদিন কাঁথি এবং তমলুকের সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে হুমকির সুরে বলেন, আমরা দিল্লির কার্যকর্তাদের বলে দিলে আপনাদের দিল্লি যাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। প্রত্যেকটা হাড় খুলে নেবে।