বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
তৃণমূল কংগ্রেসের বড়জোড়া ব্লক সভাপতি অলক মুখোপাধ্যায় বলেন, চাঁদাই মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা। তাই এখানে আমাদের জয় নিশ্চিত। সেই জন্য বুধবার রাত থেকে বিজেপি নাটক শুরু করেছে। শুধু তাই নয়, আমাদের দুই প্রার্থীকে শুক্রবার রাতে ফোনে হুমকিও দিয়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। পাশাপাশি দলীয় কর্মী ও বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের কোনও প্ররোচনায় পা না দেওয়ার জন্য সতর্ক করেছি। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য প্রশাসন একগুচ্ছ ব্যবস্থা নিয়েছে। নতুন করে অশান্তি না হলে সবকটি আসনেই আমাদের প্রার্থীরা জয়ী হবেন।
অন্যদিকে, বিজেপির বড়জোড়া মণ্ডল-৩ সভাপতি ধনঞ্জয় বড়ু বলেন, আমাদের দলীয় কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়া ও কর্মীদের বাড়ি, দোকান ভাঙচুরের পরেও শাসক দলের শান্তি হয়নি। ওই ঘটনার পর মানুষ আরও এককাট্টা হয়ে গিয়েছে বুঝতে পেরে প্রার্থী ও এলাকার সক্রিয় অভিভাবকদের তৃণমূল কংগ্রেসের লোকজন হুমকি দিচ্ছে। পরিচালন সমিতি ধরে রাখতে শাসক দল এলাকার মানুষকে আতঙ্কিত করে ভোট লুটের পরিকল্পনা করছে। পুরো বিষয়টি আমরা পুলিস ও প্রশাসনকে জানিয়েছি।
বাঁকুড়ার পুলিস সুপার কোটেশ্বর রাও বলেন, চাঁদাইয়ে বিদ্যালয়ের নির্বাচনে ফের যাতে কোনও গণ্ডগোল না হয় সেজন্য আমরা সমস্ত ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। আশা করছি, নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবেই সম্পন্ন হবে।
উল্লেখ্য, বড়জোড়ার চাঁদাই গ্রামে থাকা বারোহাজারি মাদ্রাসার বর্তমান পরিচালন কমিটিটি তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে রয়েছে। ৬ সদস্যের এই কমিটির মেয়াদ ৩১ জানুয়ারি শেষ হবে। তাই মাস তিনেক আগেই ওই মাদ্রাসায় নির্বাচনের দিন ঠিক হয়েছিল। সেই মতো ৬১০ জন অভিভাবকের ভোটার তালিকা তৈরি করা হয়। কিন্তু, নির্বাচনের কয়েক দিন আগেই এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিত অনুকূল নয় বলে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর ফের ১৯ জানুয়ারি নির্বাচনের দিন ঠিক হয়। পরিচালন কমিটি দখল নিতে শাসক দল তৃণমূল ও বিজেপি উঠেপড়ে প্রচারে নামে। তারই মাঝে বুধবার রাতে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দলীয় কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে অবরোধে নামে বিজেপি। ওই সময়ে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে তাদের খণ্ডযুদ্ধ বাধে। তাতেই এক পুলিস কর্মী সহ উভয় পক্ষের মোট ৫ জন জখম হন। ঘটনায় তৃণমূল ও বিজেপি একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। তারপর থেকেই গ্রামে ক্যাম্প করে পুলিস টহল দিচ্ছে। শুক্রবার রাত থেকে ১৪৪ধারা জারি করা হয়েছে।