পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
এবিষয়ে পঞ্চায়েত সদস্যা লক্ষ্মী রুইদাস বলেন, পাড়ার সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ায় আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনদের মারধর করা হয়েছে। বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। মারধরের জেরে আমার স্বামী প্রশান্ত রুইদাস, শাশুড়ি মুক্তি রুইদাস ও প্রতিবেশী পিন্টু রুইদাস জখম হন।
স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা তথা বেলুট রসুলপুর গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান তাপস বারি বলেন, ওই পাড়ায় লক্ষ্মীপুজোর জন্য যে কমিটি ছিল সেই কমিটির অন্যতম কর্তা ছিলেন পঞ্চায়েতের সদস্যার স্বামী প্রশান্ত রুইদাস। লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপির সন্ত্রাসে প্রশান্তবাবু বেশ কিছু দিন ঘরছাড়া ছিলেন। তারপর ওই পুজো কমিটির কর্তৃত্ব বিজেপি প্রভাবিত লোকজনের হাতে চলে যায়। সম্প্রতি প্রশান্তবাবু বাড়ি ফেরেন। ওইদিন তিনি বাড়ির সদস্যদের নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে গেলে ওরা প্রথমে সদস্যাকে গালিগালাজ করেন। পরে তাঁদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। তৃণমূল করার কারণেই তাঁদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। অনুষ্ঠানের কর্তৃত্ব যাতে হাতছাড়া না হয় সেই জন্যই ওরা এই আক্রামণ চালিয়েছে।
বিজেপির পাত্রসায়র-২ মণ্ডলের সম্পাদক অনুপ ঘোষ বলেন, বেলুট গ্রামের রুইদাসপাড়ার সাধারণ মানুষ বিজেপির পক্ষে। সামাজিক অনুষ্ঠানে তৃণমূল কর্মীরা ইচ্ছাকৃতভাবে গণ্ডগোল পাকিয়ে তাতে রাজনীতির রং চড়াচ্ছে। প্রশাসনকে দিয়ে আমাদের কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা সাজানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লোকসভা ভোটের পর পাত্রসায়রে বিজেপির বিরুদ্ধে এলাকায় ব্যাপক সন্ত্রাসের অভিযোগ ওঠে। শাসকদলের একাধিক পার্টি অফিস পুড়িয়ে দেওয়া হয়। বিশেষ করে বেলুট-রসুলপুর এলাকায় রাজনৈতিক হিংসা ব্যাপক আকার নেয়। একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শাসক দলের কর্মীরা এলাকায় রাজনৈতিক কর্মসূচি পর্যন্ত করতে পারছিলেন না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিসের পক্ষ থেকে বেলুটে পুলিস ফাঁড়ি স্থাপন করা হয়। তারপরেও হিংসা এড়ানো যায়নি। তবে পরবর্তীকালে রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরার উদ্যোগে শাসকদলের প্রায় সবক’টি পার্টি অফিস খোলা হয়। রাজনৈতিক কর্মসূচিও শুরু হয়। তারই মধ্যে শনিবার বেলুট গ্রামের রুইদাসপাড়ায় একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে যাওয়ায় পঞ্চায়েতের এক সদস্যা ও তাঁর পরিবারের লোকেদের মারধর করা হয়। বিজেপি কর্মীরা বাঁশ ও লাঠি নিয়ে ওই সদস্যার বাড়িতে চড়াও হয়। তাঁদের বাঁচাতে গিয়ে প্রতিবেশী পিন্টু রুইদাস জখম হন। ঘটনায় গ্রামে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। পরে পুলিস অভিযোগের ভিত্তিতে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে।