কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
জেলাশাসক বিভু গোয়েল বলেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের দিন ধার্য হয়েছে আগামী ১০ফেব্রুয়ারি। জেলা পুর বিষয়ক দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক আজমল হোসেন বলেন, নির্দিষ্ট নিয়ম, ছক মেনেই আসন সংরক্ষণের কাজ করা হয়েছে।
পুর বিষয়ক দপ্তর সূত্রে খবর, রানাঘাট পুরসভার চেয়ারম্যানের আসনটি নিয়ে সমস্যা না হলেও সংরক্ষণের গেরোয় পড়তে চলেছেন ভাইস চেয়ারম্যান। ভাইস চেয়ারম্যান বিজয় প্রসাদ মলিক ৬নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত। সেটি এবার মহিলা সংরক্ষিত হয়ে গিয়েছে। শান্তিপুর পুরসভায় চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়রাম্যান সংরক্ষণ গেরোয় পড়েননি। তবে বিরোধী দলনেতা সৌমেন মাহাত’র ১১নম্বর ওয়ার্ডটি মহিলা সংরক্ষিত হয়েছে। বীরনগর পুরসভার চেয়ারম্যান পার্থকুমার চট্টোপাধ্যায় সংরক্ষণের কোপ থেকে বেঁচে গেলেও ৮নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান গোবিন্দ পোদ্দারের আসনটি তফসিলি হিসেবে সংরক্ষিত হয়েছে। জেলার একমাত্র বাম পরিচালিত পুরসভা তাহেরপুরের ক্ষেত্রে ভাইস চেয়ারম্যানের ওয়ার্ডটি তফসিলি জাতি হিসেবে সংরক্ষিত হয়েছে। কল্যাণী পুরসভার চেয়ারম্যান সুশীল তালুকদারের ওয়ার্ডটিও তফসিলি হিসেবে সংরক্ষিত হয়েছে। গয়েশপুর পুরসভার চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান দু’জনেই এই কোপ থেকে রক্ষা পেয়েছেন। নবদ্বীপ পুরসভার চেয়ারম্যান বিমানকৃষ্ণ বর্মনের আসনটিও মহিলা হয়ে গিয়েছে। হরিণঘাটা পুরসভার চেয়ারম্যান মানিক ভট্টর ওয়ার্ডটি তফসিলিদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। নবদ্বীপ পুরসভার চেয়ারম্যান বলেন, সবার উপরে দল। যা বলবে তাই করব। রানাঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান বলেন, নির্দিষ্ট ছকে ফেলে এটা করা হয়। এনিয়ে আর কী বলার থাকতে পারে।
জেলার পুর বিষয়ক দপ্তর সূত্রে খবর, নদীয়া জেলায় পুরসভার সংখ্যা ১১টি। কৃষ্ণনগর, নবদ্বীপ, শান্তিপুর, রানাঘাট, বীরনগর, তাহেরপুর, কুপার্স ক্যাম্প, কল্যাণী, গয়েশপুর, চাকদহ, হরিণঘাটা। এর আগে কৃষ্ণনগর এবং চাকদহ পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়েছে। সেখানে বোর্ড অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর কাজ করছে। তবে এখানে আসন সংরক্ষণের কাজ হয়ে গিয়েছে। ফলে যে কোনও দিন নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করা যেতে পারে। অন্যদিকে, কুপার্স ক্যাম্প ছাড়া বাকি সবকটি পুরসভারই মেয়াদ সামনেই শেষ হচ্ছে। সেখানে আগে আসন সংরক্ষণের পর ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করতে হবে। সেইমতো আসন সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হল। কোন রোস্টার অনুযায়ী এই কাজ হবে কমিশন থেকে সে কথা আগেই জানানো হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, এপ্রিলের শেষ অথবা মে মাসে পুর নির্বাচন হতে পারে। সেই কথা মাথায় রেখে ঘর গোছাতে নেমে পড়েছে তৃণমূল। বসে নেই বিজেপিও।