পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পূর্ব বর্ধমান জেলায় বর্ধমান, গুসকরা, কাটোয়া, দাঁইহাট, কালনা ও মেমারি মিলিয়ে মোট ছ’টি পুরসভা রয়েছে। গতবার ছ’টি পুরসভাতেই ঘাসফুলের পতাকা উড়েছিল। এর মধ্যে ২০১৮ সালের অক্টোবর ও ডিসেম্বর মাসে রাজ্যের মোট ১৭টি পুরসভার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে বর্ধমান ও গুসকারও রয়েছে। বর্তমানে সেখানে প্রশাসকরা পুরসভার দায়িত্বে রয়েছেন। সেই সময়ই এই দুটি পুরসভা সহ ১৭টি পুরসভার আসন সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। এদিন পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া, কালনা, দাঁইহাট ও মেমারি সহ গোটা রাজ্যের ৯৩টি পুরসভার আসন সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। কে কে নিজের ওয়ার্ডে দাঁড়াতে পারবেন এবং কে কে পারবেন না, তা জানার জন্য এদিন সকাল থেকেই খসড়ার তালিকার জন্য মুখিয়ে ছিলেন সকলেই। তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর কারও মুখে হাসি ফোটে, আবার কারও মুখ ভার হয়ে যায়।
দাঁইহাট পুরসভার চেয়ারম্যান শিশির মণ্ডল গতবার ১২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে দাঁড়িয়ে জয়ী হয়েছিলেন। ওই আসনটি সাধারণ আসন ছিল। কিন্তু, এবার ১২ নম্বর ওয়ার্ডটি সাধারণ মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়ে গিয়েছে। তাই তিনি নিজের ওয়ার্ড থেকে দাঁড়াতে পারবেন না। একইভাবে দাঁইহাট পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান প্রদীপ রায় ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ওই আসনটি সাধারণ ছিল। এবার ওই আসনটি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত হয়ে গিয়েছে। তাই তিনিও নিজের ওয়ার্ড থেকে দাঁড়াতে পারবেন না। মেমারি পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন বিষয়ী গতবার ৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাঁর আসনটি সাধারণ ছিল। এবার মহিলা সাধারণ হয়ে গিয়েছে। তাঁর জন্য তিনিও নিজের ওয়ার্ডে দাঁড়াতে পারবেন না। কালনার পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় গতবার ১৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে দাঁড়িয়ে জয়ী হয়েছিলেন। তাঁর আসনটিও সাধারণ ছিল। কিন্তু, এবার সাধারণ মহিলা হয়ে যাওয়ায় তিনিও নিজের ওয়ার্ড থেকে দাঁড়াতে পারবেন না।
তবে, কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান দেবপ্রসাদ বাগের জেতা আসন ১৭ নম্বর ওয়ার্ডটি সাধারণ থেকে তসফিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত হলেও তিনি নিজের ওয়ার্ড থেকেই দাঁড়াতে পারবেন! কারণ, তিনি নিজে তফসিলি জাতির অন্তর্ভুক্ত। এবার সেই আসনটি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত হওয়ায় আখেরে তাঁরই লাভ হল। অন্যদিকে, কাটোয়া পুরসভার চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আসনটি কোনও রদবদল হয়নি। গতবার সাধারণ ছিল। এবারও তা রয়েছে। তাই তিনি অনায়াসে নিজের ওয়ার্ড থেকেই দাঁড়াতে পারবেন। রবীন্দ্রনাথবাবুর বাড়ি ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে। তাঁর বাড়ির ওয়ার্ডটিও ‘সাধারণ’ রয়েছে। কাটোয়ার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার জঙ্গল শেখের আসনটিও সাধারণ থেকে এবার সাধারণ মহিলা হয়ে গিয়েছে। কাটোয়া পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়ের আসনটি সাধারণ ছিল। এবার সাধারণ মহিলা হয়ে গিয়েছে।
জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা তথা বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আসন সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশ হয়েছে। চূড়ান্ত তালিকা হওয়ার পরই পুরো চিত্রটি পরিষ্কার হবে। তবে, আমরা এখন থেকেই নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি।