কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিন সকাল ১১টা নাগাদ তমলুকে জেলাশাসকের ইলেকশন সেলের নোটিস বোর্ডে তিন পুরসভার আসন সংরক্ষণের তালিকা প্রকাশ করে দেওয়া হয়। মুহূর্তে সেই তালিকা ছড়িয়ে পড়ে। তারপর পুরসভা অফিসগুলিতেও ওই তালিকা নোটিস বোর্ডে ঝোলানো হয়। কাউন্সিলারদের কারা নিজেদের ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পাবেন, আর কাদের অন্য জায়গায় সরে যেতে হবে, তা নিয়ে তিন পুরসভাতেই দিনভর জোর চর্চা শুরু হয়।
তমলুক পুরসভায় মোট ওয়ার্ড সংখ্যা ২০টি। এর মধ্যে তফসিলি প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত ১৫ নম্বর ওয়ার্ড। এছাড়াও ২, ৩, ৬, ৯, ১২, ১৬ এবং ১৯ নম্বর ওয়ার্ড মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ সেন ১৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত। তিনি সংরক্ষণের গেরোয় না পড়লেও ভাইস চেয়ারম্যান দীপেন্দ্রনারায়ণ গতবার ১৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেই ওয়ার্ডটি এবার মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। শহর যুব সভাপতি তথা দাপুটে নেতা চঞ্চল খাঁড়ার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডটিও সংরক্ষণের আওতায় চলে গিয়েছে। প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা শহর কমিটির কার্যকরী সভাপতি পৃথ্বীশবাবুর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডটিও মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে।
কাঁথি পুরসভায় মোট ওয়ার্ড সংখ্যা ২১টি। ওই পুরসভায় ১৭নম্বর ওয়ার্ডটি তফসিলি প্রার্থী এবং ১৬ নম্বর ওয়ার্ডটি তফসিলি মহিলা প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত। এছাড়াও কাঁথি পুরসভার ৩, ৬, ৯, ১২, ১৫ এবং ২০ ওয়ার্ড মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন্দু অধিকারী ২১ নম্বর ওয়ার্ড এবং সত্যেন্দ্রনাথ জানা ২০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে গতবার নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবার ভাইস চেয়ারম্যানের ওয়ার্ড সংরক্ষণের গেরোয় চলে গিয়েছে। সংসদ সদস্য দিব্যেন্দুবাবুর ওয়ার্ডও এবার তফসিলি জাতি ক্যাটাগরি প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত হয়ে গিয়েছে। চেয়ারম্যান সৌমেন্দুবাবু বলেন, বরাবর কাঁথি পুরসভার ৮টি ওয়ার্ড সংরক্ষণের আওতায় থাকে। এবারও সেটাই হয়েছে।
এগরা পুরসভার মোট ওয়ার্ড সংখ্যা ১৪টি। এর মধ্যে ছ’টি ওয়ার্ড এবার সংরক্ষণের আওতায় পড়েছে। তার মধ্যে ৬নম্বর ওয়ার্ডটি তফসিলি প্রার্থী এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডটি তফসিলি মহিলা প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত। এছাড়াও ২, ৫, ১০ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ড মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। চেয়ারম্যান শঙ্কর বেরা ১০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে গতবার নির্বাচিত। তাঁর ওয়ার্ডটি এবার সংরক্ষণের গেরোয় চলে গিয়েছে। ভাইস চেয়ারম্যান পারুল মাইতির ওয়ার্ড অবশ্য অসংরক্ষিত। চেয়ারম্যান শঙ্করবাবু বলেন, আমার ওয়ার্ড এবার সংরক্ষণের আওতায় চলে গিয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুরের অফিসার ইনচার্জ (ইলেকশন) সজল দাস বলেন, শুক্রবার তিনটি পুরসভার সংরক্ষণ তালিকা প্রকাশিত হল। যেকোনও ধরনের আপত্তি থাকলে সেটা আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত করা যাবে। তারপর আসন সংরক্ষণের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হবে।