বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
যে তিনজন চেয়ারম্যানের আসন সংরক্ষিত হয়েছে, তাঁরা হলেন ঘাটাল পুরসভার চেয়ারম্যান বিভাসচন্দ্র ঘোষ। খড়ার পুরসভার চেয়ারম্যান উত্তম মুখোপাধ্যায় এবং ক্ষীরপাই পুরসভার চেয়ারম্যান দুর্গাশঙ্কর পান। বিভাসবাবুর বাড়ি ঘাটাল পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে। এবার ওই আসনটি সাধারণ মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। খড়ার পুরসভার চেয়ারম্যান উত্তমবাবুর বাড়ি ৩ নম্বর ওয়ার্ডে। ২০১৫ সালে ৩ নম্বর ওয়ার্ডটি সংরক্ষিত হয়ে যাওয়ার কারণে তিনি সেবার ৬ নম্বর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এবার দু’টি ওয়ার্ডই সংরক্ষিত হয়েছে। ৩ নম্বর ওয়ার্ডটি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত হয়েছে এবং ৬ নম্বর ওয়ার্ডটিও সাধারণ মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। ক্ষীরপাই পুরসভার চেয়ারম্যান দুর্গাশঙ্করবাবুর ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। দুর্গাশঙ্করবাবুর বাড়ি ১০ নম্বরে। সংরক্ষণের আওতায় এসে যাওয়ার জন্য সেবার তিনি সেই ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা সুযোগ না পাওয়ার ফলে ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এবার ওই দু’টি ওয়ার্ডই সংরক্ষিত হয়েছে। ৬ নম্বরটি তফসিলি উপজাতিদের জন্য এবং ১০ নম্বরটি তফসিলি জাতিদের জন্য। অন্যদিকে খড়ার পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অরূপ রায়ের ৯ নম্বর ওয়ার্ডটি সংরক্ষিত হয়ে যাওয়ার জন্য তিনি এবার তাঁর বাসস্থানের ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পাচ্ছেন না।
সংরক্ষণের গেরোয় পড়া ওই তিন চেয়ারম্যান এবং এক ভাইস চেয়ারম্যান প্রত্যেকেই তৃণমূল থেকে নির্বাচিত। তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁরা দলের একনিষ্ঠ কর্মী। তাই আগামী দিনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিষয়ে দল যা সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই তাঁরা মেনে নেবেন।
অন্যদিকে, চন্দ্রকোণা পুরসভার চেয়ারম্যান অরূপ ধাড়ার নিজের ওয়ার্ড অসংরক্ষিত রয়েছে। রামজীবনপুর পুরসভার চেয়ারম্যান নির্মল চৌধুরীর বাড়ি ৬ নম্বর ওয়ার্ডে। তিনি ২০১৫ সালে সংরক্ষণের গেরোয় পড়ে ৪ নম্বর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এবার ৪ নম্বর ওয়ার্ডটি সংরক্ষিত হলেও তাঁর বাড়ির ওয়ার্ড ৬ নম্বর অসংরক্ষিত রয়েছে।
ঘাটাল পুরসভা: মোট আসন ১৭। অসংরক্ষিত ৯টি (৩, ৬, ৭, ৯, ১০, ১২, ১৩, ১৬ এবং ১৭ নম্বর ওয়ার্ড), সাধারণ মহিলাদের জন্য ৫টি (২, ৫, ৮, ১১ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ড), তফসিলি জাতির জন্য ২টি (১ ও ৪) এবং তফসিলি জাতির মহিলাদের জন্য ১টি ওয়ার্ড (১৪ নম্বর)।
চন্দ্রকোণা পুরসভা: মোট আসন ১২টি। অসংরক্ষিত ৫টি (১, ৪, ৬, ৮ এবং ১২), সাধারণ মহিলাদের জন্য ২টি ওয়ার্ড (৫ এবং ১০ নম্বর ওয়ার্ড), তফসিলি জাতির জন্য ৩টি (৩, ৯ ও ১১ নম্বর ওয়ার্ড) এবং তফসিলি জাতির মহিলাদের জন্য ২টি (২ এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ড)।
ক্ষীরপাই পুরসভা: মোট আসন ১০টি। অসংরক্ষিত ৩টি (৩, ৫ এবং ৭), সাধারণ মহিলাদের জন্য ২টি ওয়ার্ড (২এবং ৪নম্বর ওয়ার্ড), তফসিলি জাতির জন্য ২টি (৯ ও ১০ নম্বর ওয়ার্ড), তফসিলি জাতির মহিলাদের জন্য ২টি (১ এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ড) এবং তফসিলি উপজাতিদের জন্য ১টি ওয়ার্ড (৬ নম্বর)।
খড়ার পুরসভা: মোট আসন ১০টি। অসংরক্ষিত ৪টি (১, ৭, ৮ এবং ১০), সাধারণ মহিলাদের জন্য ৩টি ওয়ার্ড (২, ৬ এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ড), তফসিলি জাতির জন্য ২টি (৩ ও ৪নম্বর ওয়ার্ড) এবং তফসিলি জাতির মহিলাদের জন্য ১টি (৫ নম্বর ওয়ার্ড)।
রামজীবনপুর পুরসভা: মোট আসন ১১টি। অসংরক্ষিত ৫টি (৩, ৬, ৭, ১০ এবং ১১), সাধারণ মহিলাদের জন্য ৩ টি ওয়ার্ড (১, ৫ এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ড), তফসিলি জাতির জন্য ২টি (২ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ড) এবং তফসিলি জাতির মহিলাদের জন্য ১টি (৮ নম্বর ওয়ার্ড)।