উচ্চবিদ্যায় ভালো ফল হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে সুযোগ আসবে। কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দুপুরে কোটশিলা থানার হরতান গ্রামের তৃণমূল কর্মী রঞ্জিত মাহাত ও তাঁর মামাতো ভাই সন্দীপ মাহাতকে তৃণমূল করার দায়ে খুঁটিতে বেঁধে রেখে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকী, রঞ্জিত মাহাতকে কাটারি দিয়ে কোপানো হয় বলে অভিযোগ। পরে রঞ্জিতবাবুর দাদা জলেশ্বর মাহাত ও গ্রামের এক সিভিক ভলান্টিয়ার গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। রাতেই এবিষয়ে কোটশিলা থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস রাতেই হরতান গ্রামের চারজনকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতরা প্রত্যেকেই বিজেপি কর্মী বলে দাবি তৃণমূলের।
এবিষয়ে তৃণমূলের ঝালদা-২ ব্লকের কার্যকরী সভাপতি দীপক সিং বলেন, ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিস যে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে তাঁরা প্রত্যেকেই এলাকায় বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত। বিজেপি কর্মীরা তৃণমূলের সাধারণ কর্মীদের উপর এধরনের হামলা করে এলাকায় জোর করে বিজেপির শক্তি বাড়াতে চাইছে। যদিও এধরনের কাজের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ বিজেপির থেকে দূরে সরে যাবে।
বৃহস্পতিবার রাতেই জখম কর্মীর সঙ্গে দেখা করেন সুশান্তবাবু। শুক্রবার পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় এবং যুব তৃণমূলের সভাপতি সুশান্তবাবু হরতান গ্রামে জখম তৃণমূল কর্মীর বাড়িতেও যান। এবিষয়ে সুজয়বাবু বলেন, আমাদের দল রাজ্যে ক্ষমতায় থাকার পরেও দলের কর্মীকে বেঁধে মারধর এবং আঙুল কেটে দেওয়া হচ্ছে। এটা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। পুলিস প্রশাসন অবশ্যই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। ওই কর্মীদের শুধুমাত্র অপরাধ যে, ওরা তৃণমূল করে, তৃণমূলের মিটিং মিছিলে যায়।
এবিষয়ে হরতান গ্রামের বাসিন্দা তথা রিগিদ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির সদস্য অশোক কুমার হাঁসদা বলেন, ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। ওই চারজন বিজেপির সমর্থক, একথা সত্যি। বৃহস্পতিবার তৃণমূলের ওই দু’জন অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় সহিস পরিবারে এসে ঝামেলা করছিল। ওরাই কাটারি নিয়ে এসেছিল। ওদের হাত থেকে কাটারি কেড়ে নেওয়ার সময় লেগে যায়। তাছাড়া ঝামেলা ঠেকাতে তাদের বেঁধেছিল কর্মীরা। ঘটনায় অযথা গরিব গ্রামবাসীদের জড়ানো হচ্ছে।