উচ্চবিদ্যায় ভালো ফল হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে সুযোগ আসবে। কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
খসড়া তালিকা অনুযায়ী, পুরুলিয়া পুরসভার মোট ২৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে সর্বসাধারণের জন্য রয়েছে ২, ৩, ৫, ৬, ৮, ৯, ১২, ১৩, ১৬, ১৭, ১৯, ২০ ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ড। মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত রয়েছে ৪, ৭, ১০, ১৫, ১৮ এবং ২২ নম্বর ওয়ার্ড। অন্যদিকে, ১ নম্বর ওয়ার্ড এসসিদের জন্য, ১১ নম্বর ওয়ার্ড এসসি মহিলা, ১৪ নম্বর ওয়ার্ড এসসি মহিলা এবং ২১ নম্বর ওয়ার্ড এসসিদের জন্য সংরক্ষিত রয়েছে।
খসড়া তালিকা অনুযায়ী, সংরক্ষণের গেরোয় পড়েছেন পুরুলিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান সামিম দাদ খান। গতবার ২২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হলেও এবার ওই ওয়ার্ড মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। অন্যদিকে, কংগ্রেসের বিধায়ক তথা কাউন্সিলার সুদীপ মুখোপাধ্যায় গতবার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হলেও এবার তা এসসি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। সংরক্ষণের গেরোয় পড়েছেন পুরুলিয়া পুরসভার সিপিএমের একমাত্র কাউন্সিলার মিতা চৌধুরীও। তাঁর ১ নম্বর ওয়ার্ড এবার এসসিদের জন্য সংরক্ষিত।
মোবাইল বন্ধ থাকায় এবিষয়ে চেয়ারম্যানের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে পুরুলিয়া পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার বিভাস রঞ্জন দাস বলেন, নির্বাচন কমিশনের খসড়া সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়েছে। গত তিনবার কংগ্রেসের টিকিটে জিতে কাউন্সিলার হলেও পরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছি। এবার তৃণমূল কংগ্রেস যোগ্য মনে করলে ফের নিজের ওয়ার্ডেই ভোটে লড়াই করব।
ঝালদা পুরসভায় মোট ১২টি ওয়ার্ডের মধ্যে সর্বসাধারণের জন্য রয়েছে ১, ২, ৪, ৬, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড। মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত রয়েছে ৩, ৭ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ড। এসসিদের জন্য সংরক্ষিত রয়েছে ৫ ও ১০ নম্বর ওয়ার্ড, এসসি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত রয়েছে ১১ নম্বর ওয়ার্ড। ঝালদা পুরসভা এলাকায় সংরক্ষণের কোপে পড়েছেন পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান কাঞ্চন পাঠক। তিনি গতবার ৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয়েছিলেন। এবার তা মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। কাউন্সিলার তথা প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়াল গতবার ১০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হলেও এবার ওই আসনটি এসসিদের জন্য সংরক্ষিত। এবিষয়ে ঝালদার চেয়ারম্যান প্রদীপ কর্মকার বলেন, খসড়া সংরক্ষণের তালিকার জন্য তৃণমূল দলের কোনও সমস্যা হবে না।
এদিকে, রঘুনাথপুর পুরসভার খসড়া তালিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সব রাজনৈতিক দল। খসড়া সংরক্ষিত তালিকায় দেখা গিয়েছে, পুরসভার চেয়ারম্যান মদন বরাটের ৪ নম্বর ওয়ার্ডটি মহিলা সংরক্ষিত করা হয়েছে এবং ভাইস চেয়ারম্যান তরণী বাউরির ১২ নম্বর ওয়ার্ডটি তফসিলি জাতির পরিবর্তে সাধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে, সিপিএমের দখলে থাকা ৩, ৮ ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তিন কাউন্সিলার কেউই নিজের ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। সংরক্ষণের তালিকা বদল না হলে ৫, ৬ , ৯ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলাররা কেউই তাঁদের নিজের ওয়ার্ড থেকে দাঁড়াতে পারবেন না।
৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তথা বিরোধী দলনেতা প্রদীপ দাসের আসনটি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। তিনি বলেন, দলের সঙ্গে কথা হয়েছে। খসড়া তালিকা বদলের জন্য অভিযোগ জানানো হবে।
বিজেপির জেলা সম্পাদক বাণেশ্বর মুখোপাধ্যায় বলেন, কয়েকটি ওয়ার্ড নিয়ে সমস্যা রয়েছে। তাই বদলের জন্য অভিযোগ জানানো হবে।
তৃণমূল শহর সভাপতি সুধীর বাউরি বলেন, তালিকার কোনও ছাতা মাথা নেই। এতদিন ধরে রাজনীতি করছি কিন্তু এমন ভুলভাল তালিকা কখনও দেখিনি। তালিকা বদলের জন্য জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাতর সঙ্গে কথা বলব।