পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বাঁকুড়ার পুলিস সুপার কোটেশ্বর রাও বলেন, চাঁদাইয়ে একটি রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে আগুন লাগার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিস পিকেট ও টহল অব্যাহত রয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চাঁদাই বারোহাজারি হাইমাদ্রাসায় পরিচালন সমিতির ৬টি আসনে ১৯ জানুয়ারি নির্বাচন হওয়ার কথা। তা নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে চাপা উত্তেজনা ছিল। বিজেপির বড়জোড়া মণ্ডল-৩ এর সাধারণ সম্পাদক ধনঞ্জয় বড়ু বলেন, মাদ্রাসার নির্বাচনে পরাজয়ের ভয়ে এর আগে একবার আইন শৃঙ্খলার অবনতির অজুহাত দিয়ে মাস চারেক আগে শাসক দল নির্বাচন পিছিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু, এবারও পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছিল তাতে আমাদের জয় নিশ্চিত ছিল। তাই পরিকল্পনা মাফিক বুধবার রাতে বোমাবাজি করে আমাদের দলীয় কার্যালয়ে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আগুন লাগিয়ে দেয়।
অন্যদিকে, এদিন সকালে বিজেপি সমর্থকরা রাস্তা অবরোধের সময় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। বিজেপির অভিযোগ, শাসক দলের লোকজন এসে আলি হুসেন মল্লিক নামে এক কর্মীকে বেধড়ক মারধর করে তার বাইকে আগুন লাগিয়ে দেয়। পাশাপাশি সাগর বাগদি, আফজুল মল্লিক সহ চার কর্মীর বাড়ি ও দোকানে ভাঙচুর করে। গণ্ডগোলের খবর পেয়ে ডিএসপির নেতৃত্বে বিশাল পুলিস বাহিনী এসে সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ অবরোধ তোলে। তারপর ফের বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ বিজেপি কর্মীরা প্রায় ২০ মিনিট বড়জোড়া চৌমাথায় অবরোধ করে দলীয় কার্যালয় পোড়ানোয় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানায়। পুলিস-অবরোধকারীদের হটাতে গেলে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে। সেই সময় এক পুলিস কর্মী জখম হন।
এদিকে, বিজেপির অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অলক মুখোপাধ্যায় বলেন, চাঁদাই সংখ্যালঘু এলাকা। বিজেপি ওখানে জিততে পারবে না বুঝতে পেরেছে। তাই নিজেরাই নিজেদের পার্টি অফিস পুড়িয়ে দিয়ে সমবেদনা আদায়ের চেষ্টা করছে। আর এদিন সকালেও নিজেদের একটা বাইক জ্বালিয়ে ও কয়েকটা দোকানে ভাঙচুর করে নাটক করছে। ওরা আমাদের কর্মী নিজাম শেখের হাত-পা ভেঙে দিয়েছে ও জিয়াউল মল্লিকের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। দু’জনেই বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আমরা বিরোধীদের পার্টি অফিসে আগুন লাগানোর সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করি না। বিজেপি একটা উচ্ছৃঙ্খল দল। রাজ্য সভাপতির উস্কানিতেই ওরা এসব ঘটনা ঘটনা ঘটাচ্ছে।