বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সবুথ সাথী প্রকল্পের জেলা আধিকারিক বিষ্ণু কবিরাজ বলেন, খুব ভালো ভাবেই নদীয়া জেলায় সাইকেল বিলির কাজ হচ্ছে। পঞ্চম পর্যায়ে যে সামান্য কিছু সাইকেল দেওয়া বাকি রয়েছে, সাতদিনের মধ্যে যাতে তা দিয়ে দেওয়া হয় সে কথাই বলা হয়েছে। বিডিওরা খুব সুন্দরভাবে এই কাজ করছে। সকলের মিলিত প্রচেষ্টাতেই আমরা সব সাইকেল সময়ে দিতে পেরেছি।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ২০১৯ সাল থেকে পঞ্চম পর্যায়ে নদীয়া জেলায় সাইকেল বিরতণের কাজ চলছে। এই পর্যায়ে মোট সাইকেল মিলেছে ৬৭ হাজার ৭০৭। সাইকেলের যন্ত্রাংশ আগেই জেলায় চলে আসে। নিয়ম অনুযায়ী, বেসকারি সংস্থা তাদের সাইকেল বিভিন্ন যন্ত্রাংশ পাঠায়। এরপর সেগুলি ব্লকের নির্দিষ্ট জায়গায় ফিটিং করে সাইকেল বিতরণ করা হয়। উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারের সবুজ সাথী প্রকল্পটি রাষ্ট্রপুঞ্জের অধীনে ‘ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্য ইনফর্মেশন সোসাইটি’ পুরস্কার পেয়েছে। ‘আইসিটি অ্যাপ্লিকেশন, ই-গভর্নমেন্ট’ বিভাগে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে এই প্রকল্প। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাধের এই প্রকল্পে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের যাতায়াতের জন্য সাইকেল দেয় রাজ্য সরকার। এই মুহূর্তে নবম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের সাইকেল দেওয়া হচ্ছে।
জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, সাইকেল দেওয়ার কাজ আরও অনেক আগেই শেষ করে দেওয়া যেত। কিন্তু প্রায় গোটা নভেম্বর মাসজুড়ে উপ নির্বাচনের জন্য আদর্শ নির্বাচনী বিধি জারি হওয়ার সাইকেল দেওয়া সম্ভব হয়নি। তার আগে যে সময় পাওয়া গিয়েছে, তখনও সেভাবে সাইকেল বিলি সম্ভব হয়নি। কারণ, সেই সময় কালীপুজো, ভাঁইফোটার জন্য স্কুল বন্ধ ছিল। কয়েকটি মাদ্রাসায় সাইকেল বিলি হয়েছে। সঙ্গে কয়েকজন বিডিও উদ্যোগী হয়ে আগেই স্কুলে সাইকেল পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। যাতে স্কুল কর্তৃপক্ষ সাইকেল দিয়ে দিতে পারে। কিন্তু অধিকাংশ সাইকেল বিলি করতে পারেননি একাধিক বিডিওরা।
সাইকেল পড়ে থাকা নিয়েও সমস্যার অন্ত ছিল না। সাইকেল চুরি হওয়ার ভয়ে পুলিসকে চিঠি করে পাহারার ব্যবস্থা করতে হয়েছে। অনেক বিডিওকে বিলি না করলেও স্কুলে সাইকেল রাখার ব্যবস্থা করতে হয়েছে। যাতে সুবিধামতো সময়ে সাইকেল দেওয়া যায়।
করিমপুর ১ এর বিডিও অনুপম চক্রবর্তী বলেন, আমরা সাইকেল আগেই স্কুলগুলিকে দিয়ে দিয়েছিলাম। ফলে আমাদের আর খুব বেশি সাইকেল পড়ে নেই। যা আছে দিয়ে দেওয়া হবে। চাপড়া ব্লকের বিডিও অনিমেষকান্তি মান্না বলেন, সাইকেল বিলিতে নির্বাচনী বিধির জন্য একটু সমস্যা হয়েছিল। পরে যদিও দ্রুতগতিতে সাইকেল দেওয়ার কাজ হয়েছে। যা বাকি আছে, খুব তাড়াতাড়ি দিয়ে দেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, ভোটের পরই তেহট্ট ১ ব্লকে ১০০০, তেহট্ট ২ ব্লকে ১১০৮, শান্তিপুরে ৯৭৩, রানাঘাট ১ ব্লকে ১০২৪, নাকাশিপাড়া ব্লকে ১৬৯৪, নবদ্বীপ ব্লকে ১৬৯৪, কৃষ্ণনগর ২ ব্লকে ৬২৮, কৃষ্ণগঞ্জে ১০৪৮, চাপড়ায় ১০৩০ সাইকেল বিলি হয়েছে।