কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
মৃতদেহের কাছে পড়ে থাকা মেয়েদের মানিব্যাগে ঘুমের ওষুধও পাওয়া গিয়েছে। যে খাটে মৃতদেহ পড়েছিল, সেই খাটে রক্ত ও আঙুলের ছাপ পাওয়া গিয়েছে। শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। চোখেও আঘাত করা হয়। নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। মৃতদেহের কাছে একাধিক বালিশ থাকায় অনুমান করা হচ্ছে, শ্বাসরোধ করার সময় বালিশ ব্যবহার করা হয়েছে। মৃতের দিদির অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস একটি খুনের মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। কী কারণে কারা তাঁকে খুন করল, তা নিয়ে ধন্দে পুলিস।
খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিস সুপার কাজি সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে। তবে কী কারণে কারা খুন করল তা বোঝা যাচ্ছে না। আমরা সব দিকই খতিয়ে দেখছি। পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, অফিসের অবসরপ্রাপ্ত এক মহিলা কর্মীর সঙ্গে ওঁর বন্ধুত্ব ছিল। স্থানীয় সূত্রে পুলিস জানতে পেরেছে, রবিবারও ওই মহিলা তাঁর বাড়ি এসেছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৫ বছর আগে মৃতের ভাই জেভি বিশ্বনাথন ওই এলাকাতেই খুন হয়েছিলেন। তিনিও অবিবাহিত ছিলেন। যে মহিলার সঙ্গে জেভির ঘনিষ্ঠতা ছিল বলে বলা হচ্ছে, সেই মহিলার স্বামীও ২৪ বছর আগে খুন হন। তখন অবশ্য মৃতের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল না। পরে চাকরিতে যোগ দিয়ে ঘনিষ্ঠতা হয়। অবসরের পরও সেই ঘনিষ্ঠতা অটুট ছিল। ওই মহিলার দুই ছেলে মায়ের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখেননি। মৃতের দিদিও অবিবাহিতা। তিনি শহরেরই মালঞ্চ এলাকায় ঘর ভাড়া নিয়ে মায়ের সঙ্গে থাকেন।
এদিন সকালে কাজের মেয়ে বাড়িতে এসে ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে জেভির পরিচিত মহিলাকে খবর দেন। ওই মহিলার বাড়িতেও তিনি কাজ করেন। দু’জনে এসে বাড়ির দরজা ধাক্কা দিয়ে খুলে দেখেন, জেভি খাটের উপর পড়ে আছেন। হাত-পা বাঁধা। খবর পেয়ে স্থানীয় কাউন্সিলার অঞ্জনা সাকরে পুলিসকে বিষয়টি জানান। খড়্গপুর টাউন থানার পুলিস এসে তাঁকে উদ্ধার করে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কাউন্সিলার বলেন, কেন এরকম ঘটনা ঘটল বুঝতে পারছি না। স্থানীয় বাসিন্দা এ রাও, বি কুমার বলেন, উনি কারও সঙ্গে কথা বলতেন না। নিজের মতো থাকতেন। মৃতের দিদি জেভিএস লক্ষ্মী বলেন, আমরা আগে একসঙ্গেই থাকতাম। দাদা অবসর নেওয়ার পর ছোট ঘরে চলে যাওয়ায় আমি মাকে নিয়ে মালঞ্চে ভাড়া ঘরে চলে যাই। দাদাই আমাদের দেখাশুনো করতেন। এক মহিলার সঙ্গে দাদার চাকরীজীবন থেকেই ঘনিষ্ঠতা। তিনি আমাদের পরিবারেরই একজন হয়ে গিয়েছেন।
মৃতের গলায় সোনার হার, আঙুলে অনেকগুলি সোনার আংটি ছিল বলে তাঁর দিদি ও ওই মহিলা জানিয়েছেন। পুলিসের অনুমান, একাধিক ব্যক্তি এই খুনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।