কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
শনিবার সন্ধ্যায় রাজ্যের ৮টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতিদের নামের তালিকা প্রকাশ হয়। তাতে বিষ্ণুপুরের দলীয় সভাপতির নাম ঘোষণা হতেই অমরবাবুর অনুগামীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়। তাঁর অনুগামীদের অভিযোগ, যাঁরা দুর্দিনে দলটাকে আগলে রেখেছেন। তাঁদের সঙ্গে বঞ্চনা করা হচ্ছে। সভাপতি নির্বাচনের ঘটনায় দলীয় কর্মীদের মধ্যে নতুন করে বিভাজন তৈরি হয়ে গেল বলে তাঁরা মন্তব্য করেছেন।
দলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক অমর শাখা এনিয়ে কোনও মন্তব্য করতে না চাইলেও তাঁর এক অনুগামী পাত্রসায়রের বিজেপি নেতা বাপি হাজরা বলেন, আমি ৩২বছর ধরে দলটা করে আসছি। অবিভক্ত বাঁকুড়া জেলা কমিটির সদস্য ছিলাম। দল পুরনো কর্মীদের গুরুত্ব দেয়নি। সম্প্রতি মণ্ডল সভাপতি থেকে জেলা সভাপতি পদে নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে। তা নিয়ে আমরা কিছুদিন আগে জেলা পার্টি অফিসে বিক্ষোভও দেখিয়েছি। এদিন যাঁকে সভাপতি করা হয়েছে, তিনি বিষ্ণুপুর থেকে অনেক দূরে একটি স্কুলে শিক্ষকতা করেন। তাঁর পক্ষে বিষ্ণুপুরের এতবড় এলাকায় সংগঠন পরিচালনা করা কতটা সম্ভব হবে, তা আমরা ভেবে পাচ্ছি না। যদিও বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সদ্য প্রাক্তন সভাপতি স্বপন ঘোষ বলেন, দূরত্বটা বড় কোনও ফ্যাক্টর নয়। দলে আমাদের কোনও দ্বন্দ্বও নেই।
বিষ্ণুপুরের সাংগঠনিক নেতা নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টেট রিটার্নিং অফিসার প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, হরকালী প্রতিহারকে বিষ্ণুপুরের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি করা হয়েছে। অমর শাখাকে দল অন্য গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেবে।
সদ্য নির্বাচিত সভাপতি হরকালী প্রতিহার বলেন, এতদিন দলের সাংগঠনিক জেলায় সহ সভাপতি পদে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করেছি। আমাকে এবার যে গুরু দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা আমি নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করব।