বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
আন্দোলনে লালগোলা-বেলডাঙা রুটে ট্রেন চলাচল সকাল থেকেই বন্ধ হয়ে যায়। কবে থেকে আবার এই রুটে ট্রেন চলবে সেটাও কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি।
নাগরিকত্ব আইন ইস্যুতে শনিবারও উত্তাল ছিল বীরভূম। এদিন মুরারই স্টেশনের লাইনে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। এখানে মিম সংগঠনের সদস্যদের সক্রিয় ভূমিকা লক্ষ্য করা গিয়েছে। অধিকাংশের হাতেই ছিল ভারতের জাতীয় পতাকা। অবরোধের জেরে বর্ধমান-সাহেবগঞ্জ লুপ লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বাঁশলৈ স্টেশনে প্রায় চার ঘণ্টা আটকে থাকে ডাউন শতাব্দী এক্সপ্রেস। চাতরা স্টেশনে আটকে পড়ে আপ ডিব্রুগড়-তিরুবনন্তপুরুম এক্সপ্রেস। ফলে চরম দুর্ভোগের শিকার হন যাত্রীরা। বিলের বিরোধিতায় নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শা-র কুশপতুল দাহ করে বিক্ষোভ চলে।
রেলপথের পাশাপাশি মুরারইয়ের নতুনবাজার মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভকারীরা।
পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতার দু’জায়গায় বিক্ষোভকারীরা রাজ্য সড়ক অবরোধ করে। ফলে যাত্রীরা দুর্ভোগের শিকার হন। ট্রেন হাওড়া পর্যন্ত না যাওয়ায় খড়্গপুরে বহু যাত্রী আটকে আটকে পড়েন। যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে রেল কর্তৃপক্ষ তিনটি ট্রেনকে আসানসোল দিয়ে হাওড়া পাঠানোর ব্যবস্থা করে। রাজ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির প্রতিবাদে বিজেপির পক্ষ থেকে শালবনীর আড়াবাড়িতে রাস্তা অবরোধ করে।
এদিন তৃণমূলের পক্ষ থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরে টায়ার জ্বালিয়ে প্রায় এক ঘণ্টা রাজ্য সড়ক অবরোধ করা হয়। বাতিল হয় কাণ্ডারি এক্সপ্রেস। আন্দোলনের জেরে জোর ধাক্কা লেগেছে দীঘার পর্যটনে। হোটেল ব্যবসায়ী সংগঠন জানিয়েছে, এই দু’দিনে তাদের দেড় হাজার বুকিং বাতিল হয়েছে।
নদীয়াতেও নাগরিকত্ব আইন ইস্যুতে তেতে ওঠে তেহট্ট থানার মালিয়াপোঁতা ও চাপড়া। এদিন বিক্ষোভকারীরা কৃষ্ণনগর-করিমপুর রাজ্য সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। দু’জায়গাতেই রাস্তা অবরোধ করে। মালিয়াপোতায় সাধারণ বাসিন্দারা সিএএ ও এনআরসি বাতিলের দাবিতে মিছিল করেন গ্রামবাসীরা। নাকাশিপাড়ার বীরপুর ১ পঞ্চায়েতের বড়গাছি ও গলায় দড়ি গ্রামে মিছিল ও প্রধানমন্ত্রীর কুশপুতুল পোড়ানো হয়।
বাঁকুড়া জেলার কাঠজুড়িডাঙা থেকে প্রতিবাদ মিছিল বের করেন তৃণমূল কংগ্রেসের অধ্যাপক সংগঠনের সদস্যরা। তাতে সাধারণ মানুষও যোগ দেন। মিছিল শেষ হয় মাচানতলায়। এদিন এসইউসিও মাচানতলা থেকে আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। আরামবাগের গোঘাট থানার বহড়াশোল গ্রামে তৃণমূলের পক্ষ থেকে মিছিল বের করা হয়। সেই মিছিলে সাধারণ মানুষও পা মেলান। মিছিল শেষে কৃষ্ণগঞ্জ মোড়ে নরেন্দ্র মোদির কুশপুতুল পোড়ানো হয়।
পূর্ব বর্ধমান জেলার চামারদিঘি স্টেশনে অবরোধ ও বিক্ষোভের জেরে বর্ধমান-কাটোয়া লোকাল বাতিল করা হয়।